পাতা:শ্রীরাজমালা (প্রথম লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२¢b” . . প্রথম কুলাউড়া ষ্টেসন হইতে পার্বতা পথে এবং জুড়ি স্টেসন ইষ্টতে নৌকাযোগে এই স্থানে যাতায়াত করা যাইতে পাবে। পৰ্ম্মনগর বহু প্রাচীন ও সমৃদ্ধিশালী জনপদ ছিল। মহারাজ প্রতীত খলংম হইতে ধৰ্ম্মনগরে রাজপাট স্থাপনকালে এই স্থানের যে অবস্থা ছিল তাহ আলোচনা করিলেই আমাদের উক্তির জাজ্জ্বল্যমান প্রমাণ পাওয়া যাইবে । রাজমালায় লিখিত আছে ;– \ “ধৰ্ম্মনগরের কথা শুন নৃপমণি। ধৰ্ম্মের বসতি স্থান হেন অনুমানি । নিত্য জপ, তপ, হোম অতিথি পুঞ্জন । পরম আনন্দ যুক্ত বটে সৰ্ব্বজন ॥ সৰ্ব্বদা ব্রাহ্মণ জাতি ব রে বেদ পঠি । নিদ্র হনে চৈতন্য জন্মায়ু বন্দীভাট ॥ গন্ধ যুক্ত পুষ্প বহু রস যুক্ত ফল । অতিমিঃ ভোজ্যগুলা নিৰ্ম্মল কমল। অধৰ্ম্মের নাহি লেশ পুণ্যের তা জন । নান গুণে রূপে যুক্ত বটে সৰ্ব্বজন।” রাজা,বাবুর বাড়ীতে রক্ষিত রাজমালা ॥ ধৰ্ম্মনগরের প্রাচীন সরোবর, বহুসংখ্যক পুষ্করিণী, প্রশস্ত ও সুদীর্ঘ বক্স, প্রাচীন বাড়ীর চিহ্ন ইত্যাদি অবলোকন করিলে উপরিউক্ত বর্ণনার সত্যত উপলব্ধি হয় । দুর্ভিক্ষ, মহামারী, অথবা কুকির অত্যাচারে এই বিশাল জনপদ জনশূন্ত হইয় পড়িয়ছিল ; দীর্ঘকাল পরে আবার সেইস্থান লোকালয়ে পৰিণত হইয়াছে । ধোপাপাথর –(৬২ পৃ:-২৫পংক্তি)। আধুনিক শ্ৰীহট্ট জেলার অন্তর্গত একটা জনপদ। পূর্বে এই স্থান ত্রিপুর রাজ্যের অন্তর্নিবিষ্ট ছিল। মহারাজ ডাঙ্গর ফ। স্বীয় সপ্তদশ পুত্রকে জ। লিভাগ করিয়া দেওয়ার কালে এই স্থানে এক পুত্রকে রাজা করিয়াছিলেন । রাজমালায় পাওয়া যায় ; – έ, “ধোপা পাথরেতে রাজা আর একজন।” । কোন পুত্রকে এখানে রাজা করিয়াছিলেন, রাজমাল। এ বিষয়ে নির্বাৰ ; ইহা জানিবার কোন উপায় নাই । * কর্ণফুলী নদীর পরপাড়ে আর একটা স্থানের নাম ধোপাপাথর ছিল। মধারা অমর মণিক্যের শাসন কালে, ত্রিপুর বাহিনী আরাকান্‌ বিজয়ার্থ গমন