পাতা:শ্রীরাজমালা (প্রথম লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

는l নীলধ্বজ ) ‘ফী’ উপাধি গ্রহণ করেন। তদবধি রাজা ফা ( হরিরায় ) পৰ্য্যন্ত ৭১ জন ভূপতি সেই উপাধি ধারণ করিয়াছিলেন। রাজা ফাএর পরবর্তী রত্নমাণিক্যের সময় হইতে ‘মাণিক্য’ উপাধি প্রচলিত হইয়াছে। মহারাজ ত্রিপুরের পূর্বেই (কা উপাধি লইবার অনেক পূর্বে ) কিরাঙ্গদেশে ত্রিপুরেশ্বরগণের রাজ্য স্থাপিত হইয়াছিল। সুতরাং ত্রিপুর রাজবংশের আদি পুরুষ ‘ফী’ উপাধি লইয়া ত্রিপুরায় আগমনের কথা গ্রহণ করিবার কোন সূত্র পাওয়া যাইতেছে না । পূর্বেই বলা হইয়াছে, মহারাজ ত্রিপুরের পূর্বে (তাহার উৰ্দ্ধতন ১৪শ স্থানীয় মহারাজ প্রতদনের সময়ে ) কিরাতদেশে ত্রিপুর রাজবংশের আধিপত্য স্থাপিত হইয়াছে। এ বিষয়ের প্রমাণাদি পরে প্রদান করা হইবে। ভারতসম্রাটু যুধিষ্ঠির ও মহারাজ ত্রিপুর সমসাময়িক রাজা, ইহা গ্রন্থভাগে প্রমাণ প্রয়োগ দ্বারা সিদ্ধান্ত করা হইয়াছে। * সুতরাং পূর্বকথিত ভগদত্ত ও ঘটোৎকচের স্যায় মহারাজ ত্রিপুরও মহাভারতের ঘটনার সমসাময়িক ব্যক্তি । পূর্বে দেখান হইয়াছে, ভগদত্ত প্রভৃতির কালে শ্যান বংশীয়গণের কামরূপে এবং হেড়ম্বদেশে প্রভাব বিস্তার করা অসম্ভব ছিল । সুতরাং কৈলাস বাবুর কথিত কামরূপের পরাজিত রাজার কনিষ্ঠ-পুত্র তৎকালু ত্রিপুরায় আগমনের কথাও অসম্ভব হইয় পড়ে। কৈলাস বাবুর যুক্তি যে স্বসঙ্গত নহে, তাহা বুঝাইবার জন্য বোধ হয় এভদতিরিক্ত আলোচনার প্রয়োজন হইবে না। ত্রিপুরায় যে শুন বংশীয়গণের আগমন হয় নাই, পূর্ব আলোচনায় তাহার প্রকৃষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়াছে। ত্রিপুরেশ্বরগণের ত্রিপুর ভাষা সস্তৃত ‘ফী’ উপাধি দ্বারা কৈলাস বাবু রাজবংশের প্রতি যে ভাব পোষণ করিয়াছেন, তাহা তাহার উদেশ্বমূলক বলিয়া অনেকে দোষারোপ করিয়া থাকে। মৃত ব্যক্তির উপর এরূপ অভিযোগের আরোপ সঙ্গত বলিয়া মনে হয় না। তবে, কৈলাস বাবুর একথা বুঝা সঙ্গত ছিল যে, স্থানীয় রীতিনীতি সৰ্ব্বত্রই সমাজ বা বংশ বিশেষের প্রতি প্রভাব বিস্তার করিয়া থাকে। বিশেষতঃ ভূপতিবৃন্দ, অনেক সময় রাজভক্ত প্রকৃতিপুঞ্জ হইতেও স্থানীয় ভাষা সস্তৃত উপাধি লাভ করিয়া থাকেন। এ স্থলে তাছাই ঘটিয়াছে। পিতৃবাচক উপাধি রাজা স্বয়ং গ্রহণ করা অপেক্ষা প্রক্ষাবৃন্দ হইতে লাভ করাই যে অধিকতর সম্ভবপর এবং স্বতাবিক, ইহা অতি সহজবোধ্য।. ত্রিপুরা কিম্বা दाणांन डांशबांड ब्रांजमांण-»न गल्ब्र, २७e शृं*t ।