পাতা:শ্রীরাজমালা (প্রথম লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৭৮

evao ‘কুল পবিত্র করিয়াছেন । তোমর বা 'তুয়ার’কে যদুবংশের অন্যতম শাখ বলিয়া অনেক ঐতিহাসিক স্বীকার করিয়াছেন। চাদ কবির মতে তোমর কুল পাণ্ডুবংশের শাখা বিশেষ। কিন্তু পূর্বোক্ত মতই বিশেষ প্রবল এবং প্রসিদ্ধ। আবুল ফজল কনিংহাম প্রভৃতি ঐতিহাসিকগণ এই বংশের বিবরণ প্রদান করিয়াছেন। তোমরগণ এককালে রাজস্থানের যট্‌ত্রিংশৎ রাজকুলের মধ্যে সর্বোচ্চ আসন অধিকার করিয়াছিলেন। উজ্জ্বয়িনীর অধীশ্বর রাজচক্রবর্তী বিক্রমাদিত্য এবং দিল্লীশ্বর অনঙ্গপাল তোমর কুলের সমুজ্জ্বল রত্ন। অনঙ্গ পালের পর তত্ত্বংশীয় বিশজন নরপতি ক্রমান্বয়ে ইন্দ্র প্রস্থে রাজত্ব করিয়াছেন। দ্বিতীয় অনঙ্গপালের সময় দিল্লীর দুর্গ (লালকোট) নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। তোমর বংশের শেষ রাজা তৃতীয় অনঙ্গপাল “অপুত্রক থাকায়, তাহার দৌহিত্র চৌহান বংশীয় পৃথ্বীরাজকে সিংহাসন দান করেন। এই অনঙ্গপালের পরলোকগমনের সঙ্গেই তোমরবংশের গৌরব-রবি চিরঅস্তমিত হইয়াছে। এখন আগ্রা, ঝান্সি ও ফরক্কাবাদ প্রভৃতি স্থানে মুষ্টিমেয় তোমর বংশীয়গণ নিম্প্রভ ভাবে বাস করিতেছেন । ষযাতি নন্দন দ্রুস্থ্য, পৈতৃক রাজধানী প্রতিষ্ঠানপুর হইতে বিচ্ছিন্ন হইবার অনেক পরে চন্দ্রসংশের পূৰ্ব্বেক্ত শাখা প্রশাখা বিস্তার লাভ করিয়াছে। এই কারণে স্পষ্টই প্রতীয়মান হইবে, দ্রুহ্য-সন্তানগণ সেই সকল শাখার সহিত পুরুষানুক্রমিক সম্বন্ধাম্বিত নহেন, কিন্তু ইহাদের পরস্পরের মধ্যে জ্ঞাতিত্ব সম্বন্ধ রহিয়াছে। তন্মধ্যে যাদবগণই দ্রুস্থ্য বংশীয় দিগের ঘনিষ্ঠ জ্ঞাতি। সুতরাং যদুবংশীয় তোমর শাখার সহিত ক্রহ সন্তানদিগের সম্বন্ধ যে সর্বাপেক্ষ ঘনিষ্ঠ, ইহা অতি সহজবোধ্য। বর্তমান কালে ত্রিপুর ব্যতীত অন্য কোথাও ক্রস্থ্য বংশীয়গণের অস্তিত্ব পাওয় यांश्न न । 疇 পূর্বেই বলা হইয়াছে, রাজমালা মহারাজ দৈত্যের শাসন কালের বিবরণ লইয়া আরম্ভ হইয়াছে। তৎ পূর্ববৰ্ত্তা রাজনবর্গের বিবরণ এই গ্রন্থে নাই। সম্ভবতঃ ত্রিপুরায় এই রাজবংশের শাসন স্থপ্রতিষ্ঠিত হইবার সময় লইয়া । রাজমালা রচিত হইয়াছিল। একমাত্র রাজ রত্নাকরে এই বংশের আমুপুৰ্ব্বিক বিবরণ পাওয়া যায় । প্রাচীন কাল হইতে যে বংশ তালিকা রক্ষিত হইয়া আসিতেছে, এই বংশের বিবরণ সংগ্রহ পক্ষে তাহাও বিশেষ সাহায্যকারী। ধারাবাহিক বিবরণ বুঝাইবার উদ্দেশ্বে বংশের শাখ প্রশাখা বা দিয়া, কেবল রাজগণের ক্রমিক তালিকা এস্থলে প্রদান করা যাইতেছে। পূর্ণ বংশাবলী দ্বিতীয় লহরে দেওয়া হইবে। व१*ठांजिक ।