পাতা:শ্রীশ্রীচণ্ডী-মহেন্দ্র নাথ মিত্র.djvu/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>8२ চণ্ডী ধৰ্ম্মমত সমালোচনা না করিবার অন্ত কারণও আছে। কিন্তু দর্শনশাস্ত্রে বিশেষ প্রবেশ না থাকিলে, সেই কথা বুঝা যাইহে না। আমাদের দেশের প্রায় সকল দার্শনিক ও আধুনিক প্রধান পাশ্চাত্য দার্শনিক পণ্ডিতগণের মতে, তর্ক ও যুক্তি দ্বারা ধৰ্ম্মের মূল তত্ত্ব লাভ করিবার উপায় নাই। সে কারণ কোন ধৰ্ম্ম-মন্ত সমালোচনায় বিশেষ ফল নাই—তাহার দ্বারা কোন বিশেষ সতা আবিষ্কার করা যায় না । l এই চণ্ডী-মার্কণ্ডেয় পুরাণের অন্তর্গত। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন যে, এই মার্কণ্ডেয় পুরাণ মূলতঃ ত্রিকাল-দর্শী মার্কণ্ডেয় ঋষিপ্রোক্ত। সেই ঋষি প্রোক্ত চণ্ডী-মাহাত্ম্য পরে অন্ত কর্তৃক লিপিবদ্ধ হইয়াছিল, ইহা মার্কণ্ডেয় পুরাণ হইতেই বুঝা যায়। কিন্তু কে ইহা প্রথমে লিপিবদ্ধ করেন—কোন সময়েই বা লিপিবদ্ধ হয়, তাহা এক্ষণে নির্ণয় করিবার আর উপায় নাই। তবে এস্থলে এইমাত্র বলা যাইতে পারে যে, চণ্ডী অতি প্রাচীন গ্রন্থ। মার্কণ্ডেয় পুরাণ মূল মহাভারতের পরে রচিত। কেন না, মার্কণ্ডেয় পুরাণের প্রথমেই মহাতারত সম্বন্ধে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা আছে দেখা যায়। ইহা হইতে বুঝা যায় যে, গীতা—চণ্ডীর পূর্ববৰ্ত্তী গ্রন্থ। গীতা—মহাভারতের অন্তর্গত ; ইহা মহাভারতের প্রক্ষিপ্ত অংশ নহে। সে কথা এখানে প্রমাণ করিবার আবিস্তক নাই। মহাভারত যখন মার্কণ্ডেয় পুরাণের পূর্ববৰ্ত্তী গ্রন্থ, তখন বলিতেই হইবে যে চঞ্জী গীতার পরে রচিত। কত পরে রচিত, তাহা এক্ষণে আর নির্ণয় করিবার উপায় নাই । চণ্ডীর সহিত গীতার বিশেষ সাদৃগু আছে। চণ্ডীতে নন্দ