পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত - অন্ত্যলীলা.pdf/১৭৮

শ্ৰীশ্রীচৈতন্যচ রিতামৃত । সঙ্কটে পড়িল পণ্ডিত করয়ে সংশয় । “কি করিব ? ইহা করিতে না পারি নিশ্চয়”। যদ্যপি পণ্ডিত ন কৈল অঙ্গীকার ; ভট্ট যাই তবু পড়ে করি বলাৎকার । । অভিজাত্যে পণ্ডিত করিতে নারে নিষেধন ; “এ সঙ্কটে রাখ কৃষ্ণ লইনু শরণ। অস্তৰ্যামী প্রভু জানিবেন মোর মন ; ভারে ভয় নাহি কিছু বিষম র্তার গণ”। যদ্যপি বিচারে পণ্ডিতের নাহি দোষ । তথাপি প্রভুর গণ করে তীরে রোষ । প্রত্যহ বল্লভ ভট্ট আইসে প্ৰভু স্থানে ; উদগাহাদি প্রায় করে আচার্য্যাদি সনে । যেই কিছু করে ভট্ট সিদ্ধাস্ত স্থাপন ;. শুনিতেই আচাৰ্য্য তাহ করেন খণ্ডন । আচাৰ্য্যাদি অাগে ভট্ট যবে ষবে যায় ; রাজহংস মধ্যে যেন রহে বক প্রায় । এক দিন ভট্ট পুছিল আচার্য্যেরে ; ‘জীব প্রকৃতি, পতি করি মানয়ে কষ্ণেরে । পতিব্ৰতা পতির নাম নাহি লয় ; F তোমরা কৃষ্ণ নাম লও, কোন ধৰ্ম্ম হয়’ ? আচাৰ্য্য কহে আগে তোমার ধৰ্ম্ম মূৰ্ত্তিমান ; ইহারে পুছ, ইহ কহিবেন ইহার প্রমাণ”। প্রভু কহেন ‘তুমি না জান ধৰ্ম্মমৰ্ম্ম ; স্বামী আজ্ঞা পালে এই পতিব্ৰতাধৰ্ম্ম । পতির আজ্ঞা নিরস্তর তার নাম লৈতে । পতি আজ্ঞা পতিব্ৰতা না পারে লভিলতে । অতএব নাম লয়, নামের ফল পায় 5 নামের ফলে কৃষ্ণপদে প্রেম উপজয়” । । শুনিয়া বল্লভ ভট্ট হৈল নিৰ্ব্বাচন । ঘরে ষাই ছঃখ মনে করেন চিস্তনঃ– । な*