পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত - অন্ত্যলীলা.pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

to 철3 পঃ অন্ত্যলীলা d ঠাকুর কছে “থানের কথা সব আমি জানি ; অজ্ঞ মুখ, সেই তারে দুঃখ নাহি মানি । সেই দিন যাইতাম এ স্থান ছাড়িয়া ; তিন দিন রহিলাম তোমার লাগিয়া” । বেশ্য কহে ‘কু পা করি কর উপদেশ ; কি মোর কৰ্ত্তব্য ? যাতে যায় ভব ক্লেশ । ঠাকুর ক হে ‘ঘরের দ্রব্য ব্রাহ্মণে কর দান ; এই ঘরে আসি তুমি করছ বিশ্রাম । নিরস্তর নাম লও, তুলসী সেবন ; অচিরাতে পাবে তবে কৃষ্ণের চরণ’ | e এত বলি তারে নাম উপদেশ করি ; উঠিয়া চলিল। ঠাকুর বলি হরি হরি । তৰে সেই বেশ্য গুরুর আজ্ঞা লইল ; গৃহ বৃত্তি যেবা ছিল ব্রাহ্মণেরে लिंढा । । মাথা মুড়ি এক বস্ত্রে রহিলা সেই ঘরে ; রাত্রি দিনে তিন লক্ষ নাম গ্রহণ করে। তুলসী সেবন করে চর্কণ উপবাস ; ইন্দ্রিয় দমন হৈল, প্রেমের প্রকাশ । প্রসিদ্ধ বৈষ্ণবী হুৈল পরম মহাস্তী ; বড় বড় বৈষ্ণব তার দর্শনেতে যান্তি । বেশ্যার চরিত্র দেখি লোকে চমৎকার ; হরিদাসের মহিমা কহে করি নমস্কার । রাম চন্দ্র থান অপরাধ বীজ রুইল ; সেই বীজ বৃক্ষ হঞা আগেতে ফলিল । মহুদ পরাধের ফল অদ্ভুত কথন ; প্রস্তাব পাইয়। কহি শুন ভক্তগণ ! সহজেই অবৈষ্ণব রামচন্দ্র থান ; হরিদাসের অপরাধে হৈল অস্থর সমান । বৈষ্ণব ধৰ্ম্ম নিৰদ করে বৈষ্ণব অপমান ; বহু দিনের অপরাধ পাইল পরিণাম । १*