পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত - আদিলীলা.pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদি লীলা । ని ‘শুদ্ধভাবে করিব কৃষ্ণের আরাধন । নিরন্তর সদৈন্তে করিব নিবেদন । ‘জানিয়া কৃষ্ণেরে করে কীৰ্ত্তন সঞ্চার । তবে সে অদ্বৈত নাম সফল আমার'(১) কৃষ্ণবশ করিবেন কোন আরাধনে(২) বিচারিতে, এক শ্লোক হৈল তার মনে । । তথাহি হরিভক্তিবিলাসস্ত্য একাদশ বিলাসে দশাধিকশতাঙ্কস্কৃতং গৌতমীয় তন্ত্রে নারদবচনং | ‘তুলসী দলমাত্রেণ জলস্য চুলুকেন বা বিক্ৰীণীতে স্বমাত্মানং ভক্তেভ্যে ভক্তবৎসলঃ’ ॥৭৬॥৫ ‘ভক্তবৎসলঃ’ হরি ; তুলসীদলমাত্রেণ তুলসী পত্র প্রদানেল ‘বা’ পুনঃ জলস্য চুলুকেন প্রদত্ত জলাঞ্জলিনা করণেন ‘ভক্তেভ্যঃ স্বং স্বকীয়ং ‘আত্মানং বিক্ৰীণীতে’ সমপয়ন্তী ত্য ধঃ । ৭৬ ৷ . - -- ভক্তিপূর্বক তুলসীদল বা জলাঞ্জলি দিবামাত্রেই ভক্তবৎসল হরি ভক্তদিগকে আত্মসমপণ করিয়া থাকেন ॥৭৬ ১ অদ্বৈতনাম—অর্থাৎ মাছার প্রভাবের তুলা আর দ্বিতীয় প্রভাব নাই। ২ কোন আরাধনে-কিরূপ প্রণালীতে আরাধনা করিলে শ্ৰীকৃষ্ণকে বশ করিতে পরিবেন, ইহা চিন্তু করিড়ে করিম্ভে একটি শ্লোক মনে হইল । * ইহার পর কোন কোন পুস্তকে বৃহদেগৗতমী ভূস্থ হইতে তুলসী মাহাম্মুসম্বন্ধে আরও দুইটি উদ্ধত শ্লোক দৃষ্ট হয় ; কিন্তু প্রাচীন হস্তলিখিত পুস্তকে ঐ দুই শ্লোক দেখা গেলন । পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী ও পরবর্তী বাঙ্গালা পয়ারে যখন একটি উদ্ভূত শ্লোকের বিষয়েরই উল্লেখ আছে, তখন ঐ দুইটি শ্লোক যে গ্রন্থকার কর্তৃক উদ্ধত হইয়াছিল তাহা কদাচ অম্ভব সিদ্ধ নহে। স্বম্ভরাং ঐ ট শ্লোক মূল হইতে পরিত্যক্ত হইল। সে হুইট শ্লোক এইঃ