পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত - আদিলীলা.pdf/২৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদিলীলা । Rర్సీ উপনিষদ সহিত সূত্র কহে যেই তত্ব ; (১) মুখ্য বৃত্তি সেই অর্থ পরম মহত্ত্ব। গৌণ বৃত্ত্যে যেবা ভাষ্য করিল আচাৰ্য্য ; (২) তাহার শ্রবণে নাশ হয় সব কার্য্য। র্তাহার নাহিক দোষ ঈশ্বরাজ্ঞা পাঞা (৩) গোণার্থ করিল মুখ্য অর্থ আচ্ছাদিয়া । ‘ব্রহ্ম’ শব্দ মুখ্য অর্থে কহে ভগবান ; চিদৈশ্বৰ্য্য পরিপূর্ণ অনূর্দ্ধ সমান। (৪) র্তাহার বিভূতি দেহ সব চিদাকার ; চিদ্বিভূতি আচ্ছাদিয়া কহে নিরাকার। চিদানন্দ দেহ তার স্থান পরিবার ; ' র্তারে কহে প্রাকৃত সত্ত্বের বিকার । র্তার দোষ নাহি ; ভিহ আজ্ঞাকারী দাস । আর যেই শুনে তার হয় সৰ্ব্বনাশ । বিষ্ণু নিন্দ আর নাহি ইহার উপর ; প্রাকৃত করিয়া মানে বিষ্ণু, কলেবর। সূত্ৰ-বেদান্ত স্বত্র ; যথা ‘জন্মাদ্যস্ত যত:’ । মুখ্যকৃত্তি—সেই অর্থ-- সহজ ব্যাখ্যা দ্বারা যে অর্থলাভ হয় । গৌণ বৃত্ত্যে—কষ্ট ব্যাখ্যার দ্বারা । যেবা ভাষা-অদ্বৈত মত। আচাৰ্য্য— শঙ্করাচার্য্য। ঈশ্বরাজ্ঞা পাঞ—কথিত আছে যে বৌদ্ধদিগকে পরাজয় করিবার জন্য শঙ্করাচাৰ্য্য প্রাচুভূত হইয়া বেদান্ত ভাষ্য রচনা করেন । অনুৰ্দ্ধ সমান–র্তাহ অপেক্ষ উদ্ধ বা তাহার সমান আর কেহ নাই। ‘ষড়ৈশ্বৰ্য্য’ পঠি ও আছে।