পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত - আদিলীলা.pdf/২৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদি লীলা । * 8చి ‘অবিচিন্ত্য শক্তি যুক্ত শ্ৰীভগবান ; ইচ্ছাই জগৎরূপে পায় পরিণাম। তথাপি অচিন্ত্য শক্ত্যে ছয় অধিকারী ; প্রাকৃত চিন্তামণি তাহে দৃষ্টান্ত ধরি। নানা রত্ন রাশি হয় চিন্তামণি হৈতে ; তথাপিহ মণি রহে স্বরূপ অবিকৃতে । প্রাকৃত বস্তুতে যদি অচিন্ত্য শক্তি হয় ; ঈশ্বরের অচিন্ত্য শক্তি ইথে কি বিস্ময় ? “প্রণব’ সে মহাবাক্য বেদের নিদান ; ঈশ্বর স্বরূপ প্রণব সৰ্ব্ব বিশ্বধাম। (১) সৰ্ব্বাশ্রয় ঈশ্বরের প্রণব উদ্দেশ ; ' “তত্ত্বমসি” বাক্য হয় বেদের এক দেশ । (২) প্ৰণবের মহাবাক্যত করিঃ অচিছাদন মহাবাক্য করি তত্ত্বমসির স্থাপন। (৩) সৰ্ব্ব বেদ সূত্রে করে কৃষ্ণের অভিধান, মুখ্য বৃত্তি ছাড়ি কৈল লক্ষণ ব্যাখ্যান । (৪) প্রশৰ—ওঁ কার, বা ও ভৎসত অর্থাৎ তিনিই সত্য । নিদান—মুল । সৰ্ব্ববিশ্বধর্ম-সৰ্ব্ব বিশ্ব র্যাস্থ্যর ধাম, এরূপ প্রণব । প্রণব উদ্দেশ-প্রণব দ্বার। ঈশ্বরের উদেশ হয় । তত্ত্বমসি-গুরু শিষ্যকে কহিতেছেন যে ‘হে শিষ্য! তুমিই সেই অর্থাৎ তুমিই ঈশ্বর’ । রেদের এক দেশ-একাংশ । ‘প্রণব’ বেদের মূল। আর ‘তত্ত্বমসি’ তাহার একাংশ। করি—করিয়া । করি—করিলেন অর্থাৎ শঙ্করাচার্য্য স্থাপন করিলেন । মুখাবৃত্তি-সহজ ব্যাখান । লক্ষণা-প্রকৃত অর্থ ত্যাগ করিয়া যে শক্তিস্বর অন্ত অর্থের বোধ হয় ।