পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত - আদিলীলা.pdf/৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

մ• কার্য্যের তত্ত্বাবধান করিতেন ঃ কৃষ্ণদাস কেবল সাধন ভঙ্গনে নিযুক্ত থাকিতেন। ভঁহাদের বাটতে বিগ্রহস্বে ছিল এবং গুণার্ণব মিশ্র নামে ঐবিগ্রহের একজন পূজারী ছিল কৃষ্ণদাসের ভ্রাতা ও গু৭ার্ণব মিশ্র চৈতন্য প্রভুকে ঈশ্বরবিতার স্বীকার করিয়াও নিত্যানন্দকে তদ্রুপে জঙ্গীকার করিতেন না ; এজন্য সময়ে সময়ে তৎসম্বন্ধে তর্ক বিতর্ক চলিত। একদিন উৎসব উপলক্ষে মীন কেতন রামদাস নামে নিত্যানদের এক জন সঙ্গী ও শিষ্য র্তাহীদের বাটতে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছিলেম । এই সময়ে গুণাৰ্ণৰ মিশ্রের সহিত রামদাসের মিত্যtনদের ঈশ্বরত্ব সম্বন্ধে তর্ক বিতর্ক হইয়াছিল, এবং কবিরাজ গোস্বামীর ভ্রাতাও গুণার্ণবের পক্ষ হইয়। রামদাসের সহিত বিতণ্ড করিয়াছিলেন। মীনকেতন রামদাস উভয়ের প্রতি ক্রুদ্ধ হইয়া আপন হস্তস্থিত বংশী ভাঙ্গিয়া ও অভিশাপ দিয়া প্রস্থান করিলেন। ভ্রাতার ঈদৃশ ঔদ্ধত্যাচরণে কৃষ্ণদাস ব্যথিত হইয়র্তীহাকে নানা প্রকার সছুপদেশ দিলেন এবং নিত্যনন্দের অলৌকিক গুণরাশি বর্ণনা করিয়া তদীয় ঈশ্বরত্ব প্রতিপন্ন করিলেন। কথিত আছে যে সাধুভক্তের ক্ৰোধোদ্রেক হেতু তাহার ভ্রাতার তৎকালেই সৰ্ব্বনাশ হইয়াছিল। এবং সেই রাত্রে নিত্যানন্দ স্বপ্নযোগে কৃষ্ণদাসকে দেখা দিয়া বৃন্দাবনে যাইবার আদেশ দিয়াছিলেন। বিশ্বাসী কৃষ্ণদাস পরদিন প্রভূমেই জন্মের মত গৃহসংসার পরিত্যাগ করা: স্বপ্নাদেশক্ৰমে বৃন্দাবনে যাত্রা করিলেন। তৎকালে রূপগোস্বামী ও রঘুনাথ দাস গোস্বামী জীবিত ছিলেন ; কৃষ্ণদাস বৃন্দাবনে জাসিয়া ভাস্থদের শরণাপন্ন হইলেন ; এবং রঘুনাথ দাসের নিকট দীক্ষিত হইয়া অবশিষ্ট জীবন প্রেমভক্তি শিক্ষা শাস্ত্রালোচনা, মহাপ্রভুর চরিত্রানুশীলন ও সাধনভজনে অতি