পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত - আদিলীলা.pdf/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

le বাহিত করিতে লাগিলেন । রঘুনাথ দাস গোস্বামী পুৰ্ব্বে নীলাচলে মহাপ্রভুর নিকটে অবস্থিতি করিতেন এবং স্বরূপ দামোদরের সহিত এক যোগে প্রভুর মহাভাবের অবস্থায় শরীর রক্ষা ও গুপ্তসেবায় নিযুক্ত থাকিতেন। স্বরূপ মহাপ্রভুর মনের গুপ্তভাব সমস্তই অবগত ছিলেন ; তিনি তৎসমস্ত রঘুনাথের নিকট প্রকাশ করিয়াছিলেন । কৃষ্ণদাস স্বীয় অভীষ্টদেব রঘুনাথের নিকট সে সমস্ত কথাই শুনিয়াছিলেন। বলা বাহুল্য যে উত্তরকালে চৈতন্য চরিতামৃত রচনা বিষয়ে সেই সব বৃত্তান্তই তাহার প্রধান অবলম্বন হইয়াছিল । চৈতন্য চরিতামৃত ব্যতীত কৃষ্ণদাস আরও কয়েক খানি গ্রন্থ রচনা করিয়াছিলেন । তন্মধ্যে রাধাকৃষ্ণের অষ্টকালীন সেবা বিষয়ক সংস্কৃত ভাষায় লিখিত ‘গোবিন্দ লীলা মৃত ও শ্ৰীমদ্ভাগবতের ভাবব্যাখ্যা বিষয়ক ভাগবতশাস্ত্র গৃঢ়াৰ্থরহস্য’ নামক গ্রন্থই প্রধান । এ উভয় গ্রন্থই চৈতন্য চরিতামৃতের অনেক পূৰ্ব্বে রচিত হয় ; চরিতামৃতের পর তিনি যে আর কোন গ্ৰন্থ রচনা করিয়াছিলেন তাহ সম্ভব নহে । চৈতন্য চরিতামৃত রচনা আরম্ভ হইবার পূৰ্ব্বেই রূপ ও রঘুনাথ দাস গোস্বামী স্বৰ্গারোহণ করিয়াছিলেন ; মহাপ্রভুর সাক্ষাৎ শিষ্যের মধ্যে কেবল জীব গোস্বামী ও শিবানন্দ সেনের পুত্র কবিকর্ণপুর গ্রন্থ সম্পূর্ণ হওয়া পৰ্য্যস্ত জীবিত ছিলেন । এই অপুৰ্ব্ব গ্রন্থের উৎপত্তি এই প্রকারে হইয়াছিল –বৃন্দাবনবাসী বৈষ্ণবমণ্ডলী প্রতি দিন অপরাহ্লে শ্ৰীযুত বৃন্দাবন দাস বিরচিত চৈতন্য মঙ্গল নামক গ্রন্থ শ্রবণ করিতেন ; কিন্তু ঐ গ্রন্থে চৈতন্য দেবের শেষলীলা বিস্তুত রূপে বর্ণিত না থাকায়, তাহাদের আশা পরিতৃপ্ত হইত না । সে জন্য গোবিন্দ মন্দিরের সেবাধ্যক্ষ শ্ৰীযুক্ত হরিদাস পণ্ডিতপ্রমুখ বৈষ্ণবগণ কৃষ্ণদাসকে তদ্বিষয়ে একখানি গ্রন্থ