পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত - আদিলীলা.pdf/৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

iノ・ রচনা করিতে আদেশ করিলেন । কৃষ্ণদাস যদিও তখন রঞ্জও জরাগ্রস্ত, কিন্তু বৈষ্ণবজ্ঞাবলে নবোৎসাহে উৎসাহিঞ্জ এই গুরুতর কার্য্যভার গ্রহণ করিলেন ; এবং সেই দিনেই ম মোহন মন্দিরে যাইয়া স্ত্রবিগ্রহের নিকট আজ্ঞা প্রার্থনা করিলেন । কথিত আছে যে ঐ সময়ে দেবতার কণ্ঠদেশ হইতে পুষ্পমালা খসিয়া পড়িয়াছিল ; তাহাতে মদন মোহনের আঞ্জামুমতি হইয়াছে বুঝিয়া সকলে আনন্দে হরি ধ্বনি করিয়া উঠিলেন এবং গ্রন্থকার সেই খানেই গ্রন্থের মঙ্গলাচরণ শ্লোক রচন। করিলেন । এই গ্রন্থের রচনা সমাপ্ত হইতে কত দিন লাগিয়াছিল তাহ! জানা যায় না ; তবে গ্রন্থখানির আয়তন ও বিবিধ শাস্ত্রোদ্ধত শ্লোকাবলী দৃষ্টে অনুমান হয়, যে দীর্ঘ সময় ব্যতীত ইহা সম্পূর্ণ হইবার সম্ভাবনা ছিল না । রাধাকুণ্ডতীরে গ্রন্থ প্রণয়ণ পরিসমাপ্ত হইলে, ইহা প্রকাশ করিবার জন্য কৃষ্ণদােস অতিশয় ব্যগ্র হইয়া পড়িলেন । তৎকালের নিয়মানুসারে গ্রন্থ প্রকাশের পূর্মে স্থানীয় প্রধান প্রধান মান্য ব্যক্তির অনুমতি লইতে হইত। তাহারণ গ্রন্থ পাঠ করিয়া যদি প্রকাশ যোগ্য বিবেচনা করিতেন, তবে গ্রন্থশেষে নিজ নিজ নাম স্বাক্ষর করিয়া দিতেন ; তখন সে গ্রন্থ সাধারণে লিখিয়া লইতে পারিত। তৎকালে জীব গোস্বামীই বৃন্দাবনস্থ বৈষ্ণব সমাজের অভিনেতা ছিলেন বৃদ্ধ কবিরাজ গ্রন্থখানি সঙ্গে লইয়া জীবের নিকট উপস্থিত হইয় তাহাকে ইহvপাঠ করিতে ও প্রকাশের অনুমতি দিতে অনুরোধ করিলেন । জীব গোস্বামী আদ্যোপাস্ত পাঠ করিয়া দেখিলেন যে বৈষ্ণব ধৰ্ম্মের গৃঢ় রহস্য ও চৈতন্যোপদেশ সকল বঙ্গভাষায় বিস্তুত হইয়াছে ; তাহা অবলীলাক্রমে সাধারণের আয়ত্তাধীন হইবে, অথচ রূপ, সনাতন ও তাহার স্বরচিত সংস্কৃত গ্রন্থ সকল অপ্রচারিত থাকিবে ।