পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত - মধ্যলীলা.pdf/২১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

盛 — 器 ૨૦ 8 শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত। মধ্য। ৬ পরিচ্ছেদ | দেহে আত্মবুদ্ধি সেই মিথ্যা হয় । জগৎ যে মিথ্যা নহে নশ্বরমাত্র কয় ॥১২৪৷ প্ৰণুব যে মহাবাক্য সে ঈশ্বর মূৰ্ত্তি। প্রণব হৈতে সৰ্ব্ববেদ জগৎ উৎপত্তি ॥ ১২৫ ॥ তত্ত্বমসি জীবহেতু প্রাদেশিক বাক্য । প্রণব নামানি তারে কহে মহাবাক্য ॥ ১২৬ ৷ এই মত কল্পনা ভায্যে শত দোষ দিল । ভট্টাচার্য পূর্বপক্ষ অনেক করিল ॥ বিতণ্ডা ছল নিগ্ৰহাদিঞ্চ অনেক উঠাইল । সব খণ্ডি প্রভু নিজ মত সে স্থাপিল৷৷১২৭ কেবল মাত্র নশ্বর হয় ॥ ১২৪ ৷ - মহা বাক্যরূপ যে প্রণব [ ও ] তাহাই ঈশ্বরের মূৰ্ত্তি, ঐ প্রণব হইতে সমুদায় বেদ ও জগতের উৎপত্তি হয় ॥ ১২৫ ৷ “তত্ত্বমসি” জীব নিমিত্ত ইহা প্রাদেশিক অর্থাৎ আংশিক বাক্য হয়, প্রণব না মানিয়া তাহাকে মহা বাক্য বলে ॥ ১২৬ ৷ - মহাপ্রভু এই প্রকারে কাল্পনিক ভাষ্যে শত প্রকার দোষ দিলেন, ভট্টাচাৰ্য্যও অনেক প্রকার পূর্ব পক্ষ অর্থাৎ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধকোট করিলেন এবং বিতণ্ড, ছল ও নিগ্রহ প্রভৃতি অনেক বাদ উঠাইলেন কিন্তু মহাপ্রভু তৎসমুদায় খণ্ডন করিয়া নিজের মত সংস্থাপন করিলেন । ১২৭ ৷ '- . . o

  • পরমত খণ্ডনের নাম বিতণ্ড ।

• ছল | বক্তার তাৎপর্য্যের অবিষয়ীভূত অর্থের কল্পনার দ্বারা যে দোষাভিধান তাহার নাম ছল । যেমন এই লোক নেপাল দেশ হইতে আগত যে হেতু নবকম্বল বিশিষ্ট,এই স্থানে নব সংখ্যা এই অর্থের কল্পনার দ্বারা ইহার নব সখ্যক কম্বল কোথায় এই দোষ কথন। সেই ছল, তিন প্রকার হয়, বাকছল, সামান্য ছল ও উপচার ছল, অবিশেষে কথিত যে অর্থ তাহাতে বক্তার অনভিপ্রেত অর্থের কল্পনার দ্বারা যে দোষাভিধান তাহার নাম বাক ছল। যেমন শ্বেতাশ্বধাবমান হইতেছে এই অভিপ্রায়ে শ্বেত ধাবমান হইতেছে এই প্রয়োগ করিলে শ্বেত গুণ ধাবমান হইতে পারে না এই দোষ কথন। সামানাধিকরণ্যে কথিত অর্থের অবচ্ছেদাবচ্ছেদে অর্থ কল্পনার দ্বারা যে দোষাভিধান তাহার নাম সামান্য |