পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত - মধ্যলীলা.pdf/২১৭

স্ত্রীচৈতন্যচরিতামৃত । মধ্য। ৬ পরিচ্ছেদ । سbہ S শুনি ভট্টাচাৰ্য্য কহে শুন মহাশয় । এই শ্লোকের অর্থ শুনিতে বাঞ্ছা হয়। ১৩৪ ॥ প্রভু কহে তুমি কি অর্থ কর তাহ আগে শুনি | পাছে আমি করিব অর্থ যেবা কিছু জানি ॥ ১৩৫ ৷ শুনি ভট্টাচাৰ্য্য শ্লোক করিল ব্যাখ্যান। তর্কশাস্ত্র মত উঠায় বিবিধ বিধান ॥ নববিধ অর্থ তর্কশাস্ত্র মত লৈয়া । শুনি মহা প্ৰভু কহে ঈষত হাসিয় ॥ ১৩৬ ৷ ভট্টাচার্ঘ্য জানি তুমি সাক্ষাৎ বৃহস্পতি । শাস্ত্র ব্যাখ্যা করিতে কারো নাহি ঐছে শক্তি ৷ ১৩৭ ৷ কিন্তু তুমি অর্থ কৈলে পাণ্ডিত্য প্রতিভায় ৷ ইহা বহি শ্লেকের অাছে আর অভিপ্রায় ॥১৩৮ ভট্টাচার্য্যের প্রার্থনায় প্রভু ব্যাখ্যা কৈল । তার নব অর্থ মধ্যে এক এই শ্লোক শুনিয়া ভট্টাচাৰ্য্য কহিলেন, মহাশয় শ্রবণ করুন, এই শ্লোকের অর্থ শুনিতে আমার বাঞ্ছা হইতেছে"। ১৩৪ ৷ মহাপ্রভু কহিলেন আপনি কি অর্থ করেন অগ্রে তাহ শ্রবণ করি, আমি যাহা কিছু জানি পশ্চাৎ অর্থ করিব ॥ ১৩৫ ৷ এই কথা শুনিয়া ভট্টাচাৰ্য্য শ্লেকের ব্যাখ্যা করিতে আরম্ভ করত তর্ক শাস্ত্রের মত বিবিধ বিধানে উত্থাপন করিলেন এবং তর্কশাস্ত্রমতে ঐ শ্লোকের নয় প্রকার অর্থ করিলেন, ব্যাখ্যা শুনিয়া মহাপ্রভু ঈষৎ হাস্য পুরঃসর কহিলেন ৷ ১৩৬ ৷ ভট্টাচাৰ্য্য ! আমি জানি আপনি সাক্ষাৎ বৃহস্পতি, এ রূপ শাস্ত্রব্যাখ্যা করিতে কাহারও শক্তি নাই ॥ ১৩৭ ৷ 命 আপনি পাণ্ডিত্যপ্রতিভায় অর্থাৎ নবনবোল্লেখশক্তি বশতঃ অর্থ করিলেন ক্লিন্ত ইহা ভিন্ন শ্লোকের অন্য প্রকার অভিপ্রায় আছে ৷ ১৩৮ ৷৷ * : মহাপ্রভু ভট্টাচার্য্যের প্রার্থনায় ঐ শ্লোকের ব্যাখ্যা করিলেন কিন্তু র্তাহার নয় প্রকার ব্যাখ্যার মধ্যে একটী অর্থও গ্রহণ করিলেন না॥১৩৯ • * প্রজ্ঞা নবনবোন্নেথশালিনী প্রতিভা মতা ! অস্যার্থঃ । নুতন নূতন উল্লেখশালিনী বুদ্ধিকে প্রতিভা অর্থাৎ প্রত্যুৎপন্নমতি কহে । 器一 — 飄