পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত - মধ্যলীলা.pdf/৩৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্য। ৯ পরিচ্ছেদ। প্রচৈতন্যচরিতামৃত । ల్సి দশীধ্যায় পঢ়ে আনন্দ-আবেশে । ] অশুদ্ধ পঢ়েন লোকে করে উপ হাসে । কেহে হাসে কেহো নিন্দে তাহ নাহি মানে । আবিষ্ট হঞা গীত পঢ়ে আনন্দিত মনে ॥ পুলকাঙ্ক কম্প স্বেদ যাবৎ পঠন। দেখি আনন্দিত হৈল মহাপ্রভুর মন ॥ ৪৭ ॥ মহাপ্রভু পুছিলা তারে শুন মহাশয় । " কোন অর্থ জানি তোমার এত সুখ হয় ॥ বিপ্র কহে মুখ আমি শব্দার্থ না জানি। . শুদ্ধাশুদ্ধ, গীত পঢ়ি গুরু-আজ্ঞা মানি ॥ ৪৮ ৷ অৰ্জ্জুনের রথে কৃষ্ণ হয় রজুধর । বসিয়াছে হাতে তোত্র শ্যামল সুন্দর ৷ অৰ্জুনে কহিতে আছেন হিত উপদেশ । তাহ দেখি হয় মোর আনন্দ আবেশ৷ যাবৎ পড়ে। তাবৎ পাঙ তার দরশন। এই লাগি গীতাপাঠ না ছাড়ে মোর মন ॥ ৪৯ ৷ প্ৰভু কহে গীতা বলিয়া সকল লোকে শুনিয়া তাহাকে উপহাস এবং কেহ বা নিন্দ করে, ব্রাহ্মণ তাহা না মানিয়া ভাবাবেশে গীত পড়িতে থাকেন, তাহাতেই পাঠকালপর্য্যন্ত র্তাহার পুলক, অশ্রু, কম্প, স্বেদ প্রভৃতি সাত্ত্বিক ভাব সুকল উদিত হইয়া থাকে, তাহাকে দেখিয়া মহাপ্রভুর মন আনন্দিত হইল ॥ ৪৭ ৷ . o মহাপ্ৰভু তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, মহাশয় । শ্রবণ করুন, কোন অর্থ জানিয়া আপনার এত সুখ হইতেছে। এই কথা শুনিয়া ব্রাহ্মণ কহিলেন, আমি মুখ শীর্থ জানি না, শুদ্ধ হউক বা অশুদ্ধ হউক কেবল গুরু-আজ্ঞা মানিয়া পাঠ করিয়া থাকি ॥ ৪৮ ॥ আর যখন গীতাপাঠ করি তখন অৰ্জ্জুনের রথে শ্যামমুন্দর কৃষ্ণ, হস্তে অশ্বরজ্জ্ব এবং তোত্র ( চাবুক) ধারণ করিয়া বসিয়া অৰ্জ্জুনকে হতোপদেশ - প্রদান করিতেছেন, ইহা দেখিয়া আমার আনন্দাবেশ হয়, আমি যে পৰ্য্যন্ত গীতাপাঠ করি সেই পৰ্য্যন্ত দর্শন প্রাপ্ত হই, এজন্য আমার মন গীতাপাঠ পরিত্যাগ করে না ॥ ৪৯ ৷ * , মহাপ্রভু কহিলেন ব্রাহ্মণ ! গীত পাঠে তোমারই অধিকার এবং