পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত - মধ্যলীলা.pdf/৩৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sb-8 - ঐচৈতন্যচরিতামৃত। মধ্য। ৯ পরিচ্ছেদ । কেনে এত দুঃখে তুমি করহ হতাশ ॥৯১ ॥ বিপ্র কহে জীবনে মোর | নাহি প্রয়োজন। অগ্নি জলে প্রবেশিয়া ছাড়িব জীবন ॥ জগন্মাত মহালক্ষী সীতা ঠাকুরাণী । রাক্ষসে স্পশিল তীরে ইহা কর্ণে শুনি ॥ এ শরীর ধরিবারে কভু না যুয়ায়। এই দুঃখে জ্বলে দেহ প্রাণ নাহি যায় ॥ ৯২ ৷ প্ৰভু কহে এ ভাবনা না করিহ আর । পণ্ডিত হইয়া কেনে না কর বিচার । ৯৩ ৷ ঈশ্বরপ্রেয়সী সীতা চিদানন্দমূৰ্ত্তি । প্রাকৃত ইন্দ্রিয়ে তারে দেখিতে নাহি শক্তি ॥ স্পর্শিবার কার্য্য আছুক না পায় দর্শন। সীতার আকৃতি মায়া হরিল রাবণ ॥ ৯৪ ॥ রাবণ আসিতে সীতা অন্তৰ্দ্ধান কৈল । রাবণের আগে মায়া সীতা পাঠাইল ॥ . ছেন এবং কেনেই বা অতিশয় দুঃখিত হইয়া হুতাশ ( খেদ ) করি- | তেছেন ॥ ৯১ ৷ । - তখন ব্রাহ্মণ কহিলেন আমার জীবনে প্রয়োজন নাই, অগ্নি বা জলে প্রবেশ করিয়া প্রাণ পরিত্যাগ করিব। সীতা ঠাকুরাণী জগন্মাতা | এবং মহালক্ষী, কণে শুনিতে পাই উহাকে রাক্ষসে স্পর্শ করিয়াছে, অতএব আমার এই শরীর ধারণ করা উপযুক্ত হয় না, এই দুঃখে আমার দেহ দগ্ধ হইতেছে প্রাণ বাহির হইতেছে না। ৯২ ৷ এই কথা শুনিয়া মহাপ্রভু কহিলেন, আর এ রূপ ভাবনা করিবেন না, আপনি পণ্ডিত বিচার করিতেছেন না কেন? ॥ ৯৩ ৷ সীতা ঈশ্বরপ্রেয়সী, তাহার মূৰ্ত্তি চিৎ ও আনন্দময়ী, প্রাকৃত ইন্দ্রিয়ম্বারা তাহীকে দেখিবর শক্তি নাই। স্পর্শ করিবার কার্য্য দূরে থাকুক, যখন দর্শন পাইতে পারে না,মৃতরাং তখন রাবণ মায়াসীতাকেই হরণ করিয়াছে ॥ ৯৪ ৷ * * রাষণের আগমন কালে সীতা অন্তৰ্দ্ধান হইয়। রাবণের অগ্ৰে মায়াসীতা প্রেরণ করিয়াছিলেন। অপ্রাকৃত বস্তু কখন প্রাকৃতের গোচর