পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত - মধ্যলীলা.pdf/৪১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্য। ৯ পরিচ্ছেদ। শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত । 8 & Go: চরিত। বৈষ্ণব সকল পঢ়ে কৃষ্ণকর্ণামৃত ॥ ১৫২ ৷ কর্ণামৃত শুনি প্রভুর আনন্দ হইল। আগ্রহ করিয়া পুথি লেখাইয়া নিল। কর্ণায়তসম বস্তু নাহি ত্রিভুবনে। যাহা হৈতে হয় শুদ্ধ কৃষ্ণপ্রেম জ্ঞানে ॥ সৌন্দর্য্য মাধুর্য্য কৃষ্ণলীলার অবধি। সে জানে যে কর্ণামৃত পঢ়ে নিরবধি ॥ ৯৫৩ ॥ ব্রহ্মসংহিতা কর্ণামৃত দুই পুথি পাঞ। মহারস্তু প্রায় পাই আইলা সঙ্গে লঞ ॥ ১৫৪ ৷ তাপী স্নান করি আইল৷ মাহিষ্মতী পুরে। নানাতীর্থ দেখে ভাহা নৃত্মদার তীরে ॥ ধনুতীর্থে দেখি কৈলা নির্বিন্ধ্যাতে স্নানে। ঋষ্যমুখ পৰ্ব্বত আইলা দণ্ডক অরণ্যে । ১৫৫ ৷ সপ্ততাল বৃক্ষ তাহ কানৰ ভিতর। অতিবৃদ্ধ অতি বৈষ্ণব আচরণ এবং তাহারা সকল কৃষ্ণকর্ণামৃত পাঠ করেন। ১৫২ ৷ কর্ণামৃত শ্রবণ করিয়া মহাপ্রভুর অতিশয় আনন্দ হওয়ায় তিনি আগ্রহ সহকারে ঐ পুস্তক খানি লিখাইয়া লইলেন। ত্রিভুবনে কণামৃতের তুল্য আর বস্তু নাই, ঐ গ্রন্থ হইতে শ্ৰীকৃষ্ণে বিশুদ্ধ প্রেম উৎপন্ন হয় । যে ব্যক্তি নিরন্তর কর্ণামৃত পাঠ করেন তিনিই শ্ৰীকৃষ্ণের সৌন্দর্য্য, সাধুৰ্য্য ও লীলার অবধি জানিতে পারেন। ১৫৩ ৷ ” মহাপ্রভু ব্রহ্মসংহিতা ও কর্ণামৃত এই দুই খানি পুস্তক পাইয়৷ মহারস্ত্রের ন্যায় সঙ্গে করিয়া লইয়া আসিলেন । ১৫৪ ৷ সে যাহা হউক, তৎপরে মহাপ্রভু তাপীনদীতে স্নান করিয়া মাহিস্মর্তী পুরে আগমন করিলেন, তথায় নৰ্ম্মদীতীরে নানা তীর্থ দৰ্শন পূর্বক ধনুতীর্থ দেখিয়া নিৰ্ব্বিন্ধ্যা নদীতে গিয়া স্নান করিলেন, তৎপরে ঋষ্যমুখ পৰ্ব্বত দর্শন করত দণ্ডকারণ্যে আসিয়া উপস্থিত হই লেন ৷ ১৫৫ ৷ 縣 তথায় বনমধ্যে সপ্ততাল বৃক্ষ ছিল, তাহারা অতি প্রাচীন, অতি

  • so-oo: