পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত - মধ্যলীলা.pdf/৭২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१२९ শ্ৰীচৈতন্যচরিতামৃত মধ্য। ১৮ পরিচ্ছেদ । গেলা কাম্যকবনে ॥ প্রভুর গমন রিতী পূর্বে যে কহিল ৷ সেই রূপে বৃন্দাবন যাবৎ ভ্ৰমিল ॥ ২১ ॥ তাহ লীলা স্থান দেখি গেল। নন্দীশ্বর । নন্দীশ্বর দেখি হৈল প্রেমেতে বিহবল ৷ পাবনাদি সরকুণ্ডে স্নান করিঞা । লোকেৱে পুছিল পৰ্ব্বত উপরে চঢ়িয় কিছু দেবমূৰ্ত্তি হয় পৰ্ব্বত উপরে। লোক কহে মূৰ্ত্তি হয় গোফার ভিতরে ॥ দুই দিগে মাতা পিতা পুষ্ট কলেবর । মধ্যে এক খোড়া শিশু ত্রিভঙ্গ সুন্দর ॥ শুনি মহাপ্রভু মনে তানন্দ পাইয়। তিনমূৰ্ত্তি দেখে সেই গোফ উঘাড়িঞা। ব্রজেন্দ্র ব্রজেশ্বরীর কৈল চরণ বন্দন। প্রেমাবেশে কৃষ্ণের কৈল সৰ্ব্বাঙ্গ স্পৰ্শন ॥ সব দিন প্রেমাবেশে নৃত্য গীত কৈল।। মহাপ্রভু কাম্যবনে গমন করিলেন, মহাপ্রভুর গমনের পরিপাটী পূর্বে যে রূপ কহিয়াছি, বৃন্দাবনে যত ভ্রমণ করিয়াছেন সেই রূপ ক্রমে বৃন্দাবনের সকল স্থানে ভ্রমণ করিলেন । ২১ ॥ অনন্তর কাম্যবনে লীলা স্থান সকল দর্শন করিয়া তথা হইতে নন্দীশ্বরে গমন করিলেন, মহাপ্রভু নন্দীশ্বর দেখিয়া প্রেমে বিহ্বল হইলেন, তৎপরে পাবনাদি সরোবরে স্নান করিয়া পৰ্ব্বতোপরি আরোহণ করত লোক সকলকে জিজ্ঞাসা করিলেন, পৰ্ব্বতের উপরে কি কোন দেবমূৰ্ত্তি আছেন ? তাহাতে লোক সকল কহিল পূর্ব গুহা মধ্যে দেব মূৰ্ত্তি আছেন, সেই দেবমূৰ্ত্তি এই রূপ দেখিতে আশ্চৰ্য্য যে, দুই দিকে মাত পিতা আছেন,তাহাদিগের শরীর অতিশয় পুষ্ট,ঐ দুইয়ের মধ্যে একটা ত্রিভঙ্গ সুন্দর খোড়া (খঞ্জ) শিশু আছেন ॥ ২২ ॥ মহাপ্রভু এই কথা শুনিয়া মনে আনন্দিত হওত সেই গে{ফ (গুহ ) উদঘাটন করিয়া তিন মূৰ্ত্তি দর্শন করিলেন। তন্মধ্যে ব্রজেশ্বর ও ব্রজেশ্বরীর চরণ বন্দনা করিয়া প্রেমাবেশে শ্ৰীকৃষ্ণের সর্বাঙ্গ স্পর্শ করিলেন। সেই স্থানে সমস্ত দিন প্রেমাবেশে নৃত্য গীত