পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত.djvu/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈতন্যভাগবত । চাছেন চারিদিগে বিশ্বম্ভর । গঙ্গার সুন্দর শ্লোত পুলিন সুন্দর । গাভী একমুখ দেখে পুলিনেতে চরে। হম্বারব করি আইসে জল খাইবারে উদ্ধ পুচ্ছ করি কেহে চতুৰ্দ্দিগে চায়। কেহে যুঝে কেহে শুয়ে কেহে জল খায়। দেখিয়া গৰ্জয়ে প্রভু করয়ে হুঙ্কার। মুঞি সেই মুড়ি সেই বোলে বারে বার। এইমতে ধাঞ। আইলা ঐবাসের ঘরে । কি কল্লিস শ্ৰীবাসিয়া বোলে অহঙ্কারে । নৃসিংহ পূজয়ে ঐনিবাস যেই ঘরে । পুনঃ পুনঃ নাথি মারে তাহার দুয়ারে । কাহারে পুজিস করিস কাহারে ধেয়ান। ধ্যানে যারে দেখিস তারে দেখ বিদ্যমান। জ লন্ত অনল যেন শ্ৰীবাস পণ্ডিত ৷ হইল সমাধি ভঙ্গ চাহে চারিভিত ॥, দেখে বী রাসনে বসিয়াছে বিশ্বম্ভর। চতুৰ্ভুজ শঙ্খচক্ৰ গদাপদ্ম ধর । গৰ্জ্জিতে আছয়ে যেন মত্তসিংহসার। বাম কক্ষে তালিদিয়া করয়ে হুঙ্কার। দেখিয়া হইল কম্প ঐবাস শরীরে । স্তব্ধ হৈলা শ্ৰীনিবাস কিছুই নাফুরে ॥ ডাকিয় বোলয়ে প্রভু আরেরে শ্ৰীবাস । এতদিন না জানিস আমার প্রকাশ ॥ তোর উচ্চ সংকীৰ্ত্তনে নাঢ়ার হুঙ্কারে । ছাড়িয়া বৈকুণ্ঠ আইনু সব পরিবারে । নিশ্চিন্তে আছহ তুমি আমারে আনিয়া । শান্তিপুর গেল নাড়া আমারে এড়িয়া ৷ সাধু উদ্ধারিমু দুষ্ট বিন। শিমু সব। তোর কিছু চিন্ত নাই পড় মোর স্তব ॥ প্রভুরে দেখিয়া প্রেমে কঁপিয়ে ঐবাস । ঘুচিল অন্তর ভয় পাইয়৷ অশ্বিাস । হরিষে পূর্ণিত হৈল সব কলেবর । দাণ্ডাইয়া স্তুতি করে যুড়ি দুই কর । সহজে পণ্ডিত বড় মহাভাগবত। আজ্ঞ পাঞা স্তুতি করে যেন অভিমত ॥ ভাগবতে আছে ব্ৰহ্ম মোহে পদ্যগন । সেই শ্লোক পড়ি স্তুতি করেন প্রথম। তথাহি ত্ৰদশমস্কন্ধে । লৌমিড্যুতে ভ্রবপুষেত ডিদম্বরায় গুঞ্জাবতং সপরিপিঞ্চল সম্মুখায়। বন্য অজে কবল বেত্রবিসাণ ৰেণুলস্ক শ্ৰীয়ে মৃদুপদে পশুপাঙ্গ যায়। * । বিশ্বম্ভর চরণে আমার নমস্কার। নবঘন পীত৷ ম্বর বসন যাহার ॥ শচীর নন্দন পায়ে মোর নমস্কার। নব গুঞ্জ শিখিপুচ্ছ ভু ষণ যাহার ॥ গঙ্গাদাসশিষ্য পদে মেীর নমস্কার । বনমালা করে দধি ওদন যাহার ॥ জগন্নাথ পুত্ৰ পদে মোর নমস্কার। কোটি চন্দ্র জিনি ৰূপ বদন যাহার। সিঙ্গাবেত্র বেণু চিকু ভুষণ যাহার। সেই তুমি তোমার চরণে নমস্কার। চারি ৰেদে যারে ঘোষে নদের কুমার। সেই তুমি তোমার চরণে নমস্কার। ব্ৰহ্ম স্তবে স্তুতি করে প্রভুর চরণে স্বচ্ছন্দে বলয়ে ষত আইসে বদনে ॥ তুমি বিষ্ণুতুমি কৃষ্ণ তুমি যজ্ঞে শ্বর । তোমার চরণোদকে গঙ্গাতীর্থবর । জানকীবল্লভ তুমি তুমি নরসিংহ । অজ ভব আদি তোর চরণের ভূঙ্গ । তুমি সে বেদন্তি বেদ তুমি নারায়ণ। তুমি সে ছলিলাৱলি হইয়া বামন । তুমি হয়গ্ৰীৰ ভূমি জগতজীবন। তুমি নীলাচল চন্দ্র সম্ভার কারণ । তোমার মায়ায় কার নাহি হয় ভঙ্গ। কমলা না জানে যার সনে এক সঙ্গ - সঙ্গী লগা ভাই সৰ্ব্বমতে সেবে ষে । হেন প্ৰভু মোহমানে অন্যজ