পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত.djvu/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈতন্যভাগবত । ৭৫ আর কেনে বলিয়া বেড়াও ৷ প্ৰভু বোলে তোমার অপকীৰ্ত্তে লাজ পাই। সেই সে কারণে অামি তোমারে শিখাই ৷ হাসি বোলে নিত্যানন্দ বড় ভালভাল । চাঞ্চল্য দেখিলে শিখাইবা সৰ্ব্বকাল ৷ নিশ্চয় বলিলা তুমি আমি সে চঞ্চল। এ বলিয়া মহাপ্রভু হাসে খল খল। আনন্দে না জানে বাহ্য কোন কৰ্ম্ম করে। দিগম্বর হই বস্ত্র বান্ধিলেন শিরে। যোড়েই লম্ফদেয় হাসিয়া২। সকলে অঙ্গনে বুলে দুলি য়া২ গদাধর শ্ৰীনিবাস হাসে হরিদাস । শিক্ষার প্রসাদে সভে দেখে দিগ বাস ॥ডা কি বোলে বিশ্বম্ভর একি কর কৰ্ম্ম । গৃহস্থের ঘরেতে এমত নহে ধৰ্ম্ম। এখনে বলিলা তুমি আমি কি পাগল। এইক্ষণে নিজবাক্য ঘুচিল সকল। যার বাহ নাহি তার বচনে কি লাজ। নিত্যানন্দ ভাসয়ে আনন্দ সিন্ধু মাক ॥ আপনে ধরিয়া প্রভু পরায়ে বসন৷ এমত অচিন্ত নিত্যানন্দের কখন। চৈতন্যের বচন অঙ্কুশ সতে মানে। নিত্যানন্দ মত্ত সিংহ আর নাহি জানে। আপনি তুলিয়া হাতে ভাত নাহি খায় । পুত্র প্রায় করি অন্ন মালিনী যোগায় | নিত্যানন্দ অনুভব জানে পতিব্ৰতা । নিত্যানন্দ সে বা করে যেন পুত্র মাত ॥ একদিন পিতলের বাট নিল কাকে। উড়িয়া উঠিল কাক যে ডালেতে থাকে। অদৃশ্ব হইয়া কাক কোন রাজ্যে গেল। মহা চিন্তা মালিনীর চিত্তেতে জন্মিল। বাটা থুইয়া কাক আইল আরবার। মালিনী দেখয়ে শূন্য বদন তাহার। মহাতীব্র ঠাকুর পণ্ডিত ব্যবহার। একৃষ্ণের ঘৃত পাত হৈল অপহার। শুনিলে প্রমাদ হৈব হেন মনে গুণি। নাহিক উপায় কিছু কন্দেয়ে মালিনী ॥ হেশ কালে নিত্যানন্দ আইলা সেই স্থানে। দেখয়ে মালিনী কান্দে নাহিক কারণে ॥ হাসি বোলে নিত্যানন্দ কান্দ কি কারণ । কোন দুঃখ বল সব করিব খণ্ডন। মালিনী বলয়ে বাপ শুনহ কারণ। কৃষ্ণের ঘৃত পত্রি কাকে করিল হরণ ॥ নিত্যানন্দ বোলে মাতা চিন্তা পরিহয় । আমি দিব বাটী তুমি ক্ৰন্দন সম্বর । কাক প্রতি হাসি প্ৰভু বোলয়ে বচন। ওহে কাক বাট বাট আনহ এখন । সভার হৃদয়ে নিত্যানন্দের বসতি। তান আজ্ঞা লক্তি বেক কাহার শকতি ॥ শুনিয়া প্রভুর আজ্ঞা কাক উঠি যায়। শোকাকুলী মালি নী কাৰুের দিগে চায়। ক্ষণেকে উঠিয়া কাক অদৃশ্য হইল ৷ বাট মুখে করি পুন সেইখানে আইল ৷ আনিয়া খুইল বাটি মালিনীর স্থানে। নিতানন্দ প্রভাব মা লিনী ভাল জানে ॥ আনন্দে মুচ্ছিত হৈলা অপূৰ্ব্ব দেখিয়া । নিতানন্দ প্রতি স্তুতি করে দাণ্ডাইয়া । যেজন আনিল মৃত গুরুর নন্দন। যেজন পালন করে সকল ভুবন । যমের ঘরেতে হৈতে যে আনিতে পারে । কাক স্থানে বাট আনি কি মহত্ত্ব তারে । যাহার মস্তকোপরি অনন্ত ভুবন । লীলায়ে না জানে ভব করয়ে পালুন। অনাদি অবিদ্যা ধংশ হয় যার নামে । কি মহত্ব তার বাটী আনি কাক স্থানে । ষে তুমি লক্ষণ ৰূপে পূর্বে বনবাসে। নিরস্তুর রক্ষক আছিল সীতা