পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত.djvu/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮌ8 মধ্যমখও প্রকাশেও কেহো নাহি চিনে । , সিন্ধু মধ্যে চন্দ্ৰ যেন নাজানিল মনে ॥ জগাই মা ধাই দুই চৈতন্য রূপায়। পরম ধাৰ্ম্মিকৰূপে বসে নদীয়ায়। উষাকালে গঙ্গাস্নান কিরয়া নিৰ্জ্জনে । দুই লক্ষ কৃষ্ণ নাম লয় প্রতি দিনে i আপনারে ধিক্কার করয়ে অ মুক্ষণ । নিরবধি কৃষ্ণবলি করয়ে ক্ৰন্দন ॥ পাইয়া কৃষ্ণের রস পরম উদার। কৃষ্ণে র দুইত দেখে সকল সংসার। পূৰ্ব্বে যে করিল হিংসা তাহ সঙরিয়া। কান্দিয় ভূমিতে পড়ে মুস্থিত হইয়া । গৌরচন্দ্র অারে বাপ পতিত পাবন। সঙরিয়া পু নঃপুন করয়ে ক্ৰন্দন। আহারের চিন্তা গেল কৃষ্ণের আনন্দে! সঙরি চৈতন্য কৃপা দুইজন কান্দে ৷ সৰ্ব্বগণ সহিত ঠাকুর বিশ্বম্ভর। অনুগ্রহ আশ্বাস করয়ে নিরন্তর। আপনে বসিয়া প্ৰভু ভোজন করায় । তথাপিহ দুহেঁচিত্তে সোয়াথ নাপায়। বিশেষে মধাই নিত্যানন্দেরে লঙ্ঘিয়া । পুনঃপুন কান্দে বিপ্র তাহা সঙরিয়া। নিত্যানন্দ ছাড়িল সকল অপরাধ । তথাপি মাধাই চিত্তে নাপাই প্ৰ সদ। নিত্যানন্দ অঙ্গে মুঞি কৈন্তু রক্তপাত। ইহা বলি নিরস্তর করে আত্মঘাত যে অঙ্গে চৈতন্য চন্দ্র করয়ে বিহার। হেন অঙ্গে মুঞি পাপী করিনু প্রহর । মৃস্থগিত হয়ে ইহা সঙরি মাধ্যই। অহৰ্নিশ কান্দে আর কিছু চিন্তা নাই। নি ত্যানন্দ মহাপ্রভু বালক মাবেশে। অহন্নিশ নদীয়ায় বুলে রাত্রি শেষে ॥ সহ জে পরমানন্দ নিত্যানন্দ রায় । অভিমান নাহি সৰ্ব্ব নগরে বেড়ায় ৷ এক দিন নিত্যানন্দ নিভৃতে পাইয়া। পড়িলা মাধাই দুই চরণে ধরিয়া । প্ৰেমজলে ধোয়া ইল প্রভুর চরণ। দন্তুে তৃণ ধরি করে প্রভুর স্তবন । বিষ্ণুৰূপে প্ৰভু তুমি করহ পালন। তুমি সে ফণায় ধর অনন্ত ভুবন । ভক্তির স্বৰূপ প্ৰভু তোর কলেবর - তোমারে চিস্তয়ে মনে পাৰ্ব্বতী শঙ্কর ৷ তোমার সে ভক্তি যোগ তুমি কর দান। তোমাবহি চৈতন্যৈর প্রিয় নাহি আন ॥ তোমার সে প্রসাদে গরুড় মহাবলী। লীলায়ে বহয়ে কৃষ্ণ হই কুতুহলী । তুমি সে অনন্ত মুখে কৃষ্ণগুণ গাও। সৰ্ব্ব ধৰ্ম্ম শ্ৰেষ্ঠ ভক্তি তুমি সে বুঝাও । তোমার সে গুণ গায় ঠাকুর নারদ। তোমার সে যত কিছু চৈতন্য সম্পদ। তোমার সে কালিন্দী ভেদন কারী নাম । তোম। সেবি জন ক পাইল দিব্য জ্ঞান ৷ সৰ্ব্ব ধৰ্ম্ম ময় তুমি পুরুষ পুরাণ। তোমারে সে বেদে বলে আদি দেব নাম । তুমিসে জগত পিতা মহা যোগেশ্বর । তুমিসে লক্ষণচন্দ্র মহাধনুৰ্দ্ধর । তুমি সে পাষও ক্ষয় রসিক আচাৰ্য্য। তুমি সে জানহ চৈতন্যের সৰ্ব্ব কাৰ্য্য। তোমারে সে সেবি পূজ্য হইল মহামায়া। অনন্ত ব্ৰহ্মাণ্ড চাহে তোমা পদছায়া । তুমি চৈতন্যের ভক্ত তুমি মহাভক্তি। যত কিছু চৈতন্যের তুমি মহা শক্তি ৷ তুমি সঙ্গি তুমি সখা তুমি সে শয়ন। তুমি চৈতন্যের ছত্র তুমি .প্রাণধন তোমাবহি কৃষ্ণের দ্বিতীয় নাহি আর । তুমি গৌরচন্দ্রে ব্র সকল অবতার ৷ তুমি সে বরাহ প্ৰভু পতিতের ত্রাণ। তুমি সে সংহার সর্ব