পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত.djvu/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈতন্যভাগবত । సి(t পাষণ্ডের প্রাণ ॥ তুমিসে করহ সৰ্ব্ব বৈষ্ণবের রক্ষ। তুমি সে বৈষ্ণব ধৰ্ম্ম কর। ছ যে শিক্ষা । তোমার রূপায় স্বটি করে অজদেবে । তোমার সে রেবতী বারুণী সদাসেবে ৷ তোমার সে ক্রোধ মহারুদ্র অবতার ৷ সেই দ্বারে কয় সৰ্ব্বস্বষ্টির সংহার ॥ তথাহি ॥ সঙ্কর্ষণাত্মকে রুদ্র নিষ্কাম্যেতি জগত্ৰয়ং ইত্যাদি । * । সকল করিয়াও তুমি কিছু নাহি কর । অনন্ত ব্ৰহ্মাণ্ড নাথ তুমি বক্ষে ধর । পরম কে মল সুখ বিগ্রহ তোমার। যে বিগ্রহে করে ক্লষ্ণ শয়ন বিহার । সেহেন শ্রীঅঙ্গে মুঞি করিনু প্রহার। মো অধিক দারুণ পাতকী নাহি আর পাৰ্ব্বতী প্রভৃতি নবাৰ্বদ নারী লঞ। যে অঙ্গ সেবয়ে শিব জীবন করিয়া। যে অঙ্গ স্মরণে সৰ্ব্ব বন্ধ বিমোচন। হেন অঙ্গে রক্ত পড়ে আমার কারণ ॥ চিত্ৰকেত্ত মহারাজ যে অঙ্গ সেবিয়া । সুখে বিহরয়ে বৈষ্ণবাগ্রগণ্য হঞ৷ হেন অঙ্গ মুঞিপাপী করিনু লংঘন। অনন্ত ব্ৰহ্মাণ্ড করে যে অঙ্গ স্মরণ ॥ যে অঙ্গ সেবিয়া সনকাদি ঋষিগণ পাইল নৈমিষারণ্যে বন্ধ বিমোচন ॥ যে অঙ্গ লংঘিয়া ইন্দ্ৰজিত গেল ক্ষয় । যে অঙ্গ লংঘিয়া দ্বিবদের নাশ হয় ৷ fযে অঙ্গ লংঘিয়া জরাসন্ধ নাশগেল । আর মোর কুশল নাহি সে অঙ্গ লংঘিল ৷ লংঘনের কি দায় যাহার অপমানে রুষ্ণের শ্বালক রুক্মী তেজিল জীবনে ॥ দীর্ঘ আয়ু ব্ৰহ্ম সম পাইয়াও সুত । তে। ম। দেখি না উঠিলহৈল ভস্মীভুত ॥ যার অপমান করি রাজ দুর্য্যোধন। সবংশে তে প্রাণগেল নহিল রক্ষণ । দৈবযোগে ছিল তথা মহাভক্তগণ । তাহারা জানি ল সব তোমার কারণ। কুন্তী ভীয় যুধিষ্ঠির অৰ্জ্জুন বছর। তাসভার বাক্যে পুন পাইলেক পুর। যার অপমান মাত্র জীবনের নাশ । মুঞি দারুণের কেনি লোকে হৈব বাস ॥ বলিতেই প্রেমে ভাসয়ে মাধাই ! বক্ষে দিয়া শ্ৰীচরণ পড়িল তথাই ॥ যে চরণ ধরিলে না যাই কভু নাশ। পতিতের ত্রাণ লাগি যাহার প্র কাশ। শরণাগতেরে বাপ কর পরিত্রাণ। মধাইর তুমি সে জীবন ধন প্রাণ ॥ জয়২ জয় পদ্মাবতীর নন্দন ৷ জয় নিত্যানন্দ সৰ্ব্ব বৈষ্ণবের ধন ৷ জয়২ অক্রোধ পরমানন্দ রায়। শরণাগতের দোষ ক্ষমিতে জুয়ায় । দারুণ চ গুলি মুঞি কৃ তঘু গোখর ; শর অপরাধ প্ৰভু মোর ক্ষমাকর। মাধাইর কাকুপ্রেম শুনিয় স্তবন । হাসি নিত্যানন্দ রায় বলিলা বচন ॥ উঠ২ মাধাই আমার তুমি দাস । তোমার শরীরে হৈব আমার প্রকাশ ॥ শিশু পুত্ৰ মরিলে কি বাপ দুঃখ পায় । এইমত তোমার প্রহার মোর গায় । তুমি যে করিলা স্তুতি ইহা যেই শুনে । সে হে ভক্ত হইবেক আমার চরণে ॥ আমার প্রভুর তমি অনুগ্রহ পাত্র। আমীতে তোমার দোষ নাহি তিলমাত্র। যে জন চৈতন্য ভজে সে আমার প্রাণ। যুগেই তার আমি করি পরিত্রাণ ॥ না ভজে চৈতন্য যবে মোরে ভজে গায় । মোর দুঃখে সেহে জন্মে জন্মে দুঃখপায়। এতবলি তুষ্টহৈয়া কৈলা আলিঙ্গন । সৰ্ব্বদুঃখ