পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত.djvu/২১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2ల8 * মধ্যমখণ্ড প্রভু সভার জীবন। মহাসোচ্য বাসিলাম আছে কিকারণ ॥ যেন দণ্ড করিলা বচন অনুরূপ। এখনে আসিয়া হও প্রসাদ সমুখ ॥ ঐরাসের বচন শুনিয়া রুপাময় চলিলা আচার্য প্রতি হইয়া সদয় । মুম্বাগত আসি প্রভু দেখে আচার্যোরে। মহ অপরাধি হেন মনে আপনারে । প্রসাদে হইয়া মত্ত বুলি অহঙ্কারে ৷ পইয়া প্রভুর দও কম্প দেহ ভরে। দেখিয়া সদয় প্রভু বোলয়ে উত্তর। উঠহ আচাৰ্য্য ষ্টের আমি বিশ্বম্ভর ॥ লজ্জায়ে অদ্বৈতকিছু না বোলে বচন । প্রেম যোগে মনে চিন্তে প্রভুর চরণ। আরবার বোলে প্রভু উঠহ আচাৰ্য্য। চিন্তা নাহি উঠিকর আপ নার কার্য । অদ্বৈত বোলয়ে প্রভু করাইলে কাৰ্য্য। যত কিছু বল মোরে সব প্রভু বাহ ৷ তোরে প্রভু নিরন্তর লওয়াও কুমতি। অহঙ্কার দিয়া মোরে করাহ দুৰ্গতি ॥ সভাকারে উত্তম দিয়াছ দাস্য ভাব। আমারে দিয়াছ প্রভু যত কিছু রাগ লওয়াও আপনে দণ্ড করহ আপনে । মুখে এক বল তুমি কর আর মনে ॥ প্রাণ দেহ ধন মন সব তুমি মোর। এবে মোরে দুঃখ দিস ঠাকুরালী তোর। হেন কর প্রভু মোরে দাস্য ভাব দিয়া। চরণে রাখহ দাসীনন্দন করিয়া শুনিয়া অদ্বৈ ত বাক্য প্রভু বিশ্বম্ভর । অকৈতবে কহে সৰ্ব্ব বৈঞ্চব গোচর ॥ শুন২ আচাৰ্য্য তোমাতে তত্ব কহি। ব্যবহার দৃষ্টান্ত দেখহ তুমি এহি । রাজপাত্র রাজ স্থানে চলয়ে যখনে । দ্বারি প্রহরি সব করে নিবেদনে ॥ মহাপাত্র যদি গোচরিয়া রাজ স্থানে। জীব্য লই দিলে রহে গোষ্ঠীর জীবনে ॥ যে মহা পাত্র স্থানে করে নিবে দন। রাজ আজ্ঞা হৈলে কাটে সেই সব জন। সব রাজ্য ভার দেই যে মহ পাত্রেরে। অপরাধে শোচ্য হাতেতার শাস্তি করে ৷ এইমত কৃষ্ণ মহারাজ রাজেশ্বর । কৰ্ত্ত হৰ্ত্ত ব্ৰহ্ম শিব যাহার কিঙ্কর ৷ স্বটি আদি করিতেও দিয়াছেন শক্তি । শাস্তি করিতেও কেহ নাকরে দ্বিরুক্তি ॥ রমাদি ভবাদি সভে কৃষ্ণদণ্ড পায় দোষ প্ৰভু সেবকের ক্ষময়ে সদায় । অপরাধ দেখি কৃষ্ণ যার শাস্তি করে। জন্মে২ দাস সেই বলিল তোমারে। উঠিয়া করহ স্নান কর আরাধন। নাহিক তোমার চিন্তা করহ ভোজন ॥ প্রভুর বচন শুনি অদ্বৈত উল্লাস। দাসের শুনিয়া দণ্ড হৈলা বডহাস। এখনে সে বলি প্ৰভু তোর ঠাকুরালী । নাচেন অদ্বৈত রঙ্গে দিয়া কর তালী। প্রভুর আশ্বাস শুনি আনন্দে বিহ্বল। পাষরিল পূৰ্ব্ব যত বিরহ সকল সকল বৈষ্ণব হৈলা পরম আনন্দ । তখনে হাসেন হরিদাস নিত্যাননদ । এসব পরমানন্দ লীলা কথা রসে । কেহে২ বঞ্চিত হইল দৈব দোষে ॥ চৈতন্যের প্রেম পাত্র ঐঅদ্বৈত রায়। এসম্পত্তি অপ হেন বুঝয়ে মায়ায়। অল্প করি না মানি হ দাস হেন নাম। অল্প ভাগ্যে দাস নাহি করে ভগবান। অগ্রে হয় মুক্তি তবে সৰ্ব্ববন্ধ নাশ। তবে সে হইতে পারে শ্রীকৃষ্ণের দ্বাস । এই ব্যাখ্যা করে ভাষ্য করের সমাজে। মুক্ত সব লীল তত্ব করি কৃষ্ণ ভজে তথাহি মুক্ত অপিলী