পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত.djvu/২৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

YQ 9 মধ্যমখ গু মহাপাতকীও যায় কৃষ্ণ ধাম । হেন প্রভু আপনে সাক্ষাৎ করে নৃত্য। গুণ গায় যত তান ব্ৰহ্মাদিক ভূত্য ৷ এসময়ে যাহার হইল পরলোক। ইহাতে কি জুয়ায় করিতে আর শোক ॥ কোনোকালে এশিশুর ভাগ্য পাই যবে । কৃতার্থ করিয়া আপনারে মানি তবে ॥ যদিবা সংসার ধৰ্ম্মে নার সম্বরিতে। বিলম্বে কান্দিহ যার যেই লয় চিত্তে ॥ অন্য কেহ যেন এ আখ্যান না শুনয়ে। পাছে ঠাকুরের মৃত্য মুখ ভঙ্গ হয়ে। কলরব শুনি যদি প্রভু বাহ পায়। তবেত গঙ্গায় প্রবেশিমু সৰ্ব্বথায়। সভে স্থির হইলেন শ্ৰীবাস বচনে। চলিলেন শ্ৰীবাস প্রভুর সংকীৰ্ত্তনে ॥ পরানন্দে সংকীৰ্ত্তন করয়ে ঐবাস। পুনঃপুন বাড়ে আরো বিশেষ উল্লাস ॥ প্রীনিবাস পণ্ডিতের এমন মহিমা । চৈতন্যের পার্ষদের এই গুণ সীম। স্বানুভাবানন্দে মৃত্য করে গৌরচন্দ্র । কতক্ষণে রছিলেন লই ভক্তবৃন্দ। পরস্পর শুনিলেন সৰ্ব্বভক্তগণ। পণ্ডিতের পুত্রের হৈল বৈকুণ্ঠ গমন। তথাপিও কেহ কিছু ব্যক্ত নাহি করে। দুঃখ বড় পাইলেন সভেই অন্তরে ৷ সৰ্ব্বজ্ঞের চূড়ামণি ঐগেীর সুন্দর। জিজ্ঞাসেন প্রভু সৰ্ব্ব জনের অন্তর। প্ৰভু বোলে আজি মোর চিত্ত কেন করে। কোন দুঃখ হইয়াছে পণ্ডিতের ঘরে । পণ্ডিত বলেন প্ৰভু মোর কোন দুঃখ । যার ঘরে সুপ্রসন্ন তোমার প্রমুখ। শেষে আছিলেন যত সকল মহান্ত। কহিলেন পণ্ডিতের পুত্রের বৃত্তান্ত ৷ সংজ্রমে বোলয়ে প্রভু কহ কত ক্ষণ। শুনিলেন চারিদণ্ড রজনী যখন n তোমার আনন্দ ভঙ্গ ভয়ে শ্ৰীনিবাস কাহারেও ইহা নাহি করেন প্রকাশ ॥ পরলোক হইয়াছে আড়াই প্রহর। এবে আজ্ঞ৷ দেহ কাৰ্য্য করিতে সত্বর ॥ শুনি শ্ৰীবাসের অতি অন্তত কথন। গোবিন্দ২ প্রভু করেন স্মরণ ॥ প্ৰভু বোলে হেন সঙ্গ ছাড়িবে কেমতে । এতবলি মল প্রভু লাগিল। কান্দিতে ॥ পুত্ৰ শোক না জানিল যেমোহর প্রেমে। হেন সব সঙ্গমুঞি ছাড়িব কেমনে ॥ এতবলি মহাপ্রভু কান্দেন নির্ভর । ত্যাগ বাক্য শুনি সব চিন্তে অনুচর ॥ নাহি জানি কি প্রমাদ পড়য়ে কখন। অন্যোন্যেতে চিন্তয়ে সকল ভক্তগণ। গারি হস্ত ছাড়ি প্রভু করিব সন্ন্যাস। তবে স্থনি করি কালে ছাডিয়া নিশ্বাস । স্থির হইলেন যদি ঠাকুর দেখিয়। সৎকার করিতে শিশু যায়েন লইয়। মৃত শিশু প্রতি প্ৰভু বোলেন বচন শ্ৰীবাসের ঘর ছাঢ়ি যাও কিকারণ শিশু বোলে প্ৰভু যেন নিৰ্ব্বন্ধ তোমার। অন্যথা করিতে শক্তি আছয়ে কাহার ঘৃত শিশু উত্তর করয়ে প্রভু সনে। পরম অদ্ভুত শুনে সৰ্ব্ব ভক্তগণে । শিশু বোলে এদেহেতে যতেক দিবস। নিৰ্ব্বন্ধ আছিল ভুঞ্জিলাম সেই সব ॥ নিৰ্ব্বন্ধ যুচিল আর রহিতে না পারি। এবে চলিলাম আর নির্বান্ধিত পুরী। কে কাহার বাপ প্রভুকে কাহার নন্দন। সতে আপনার কৰ্ম্ম করয়ে ভুঞ্জন। যতদিন ভাগ্য ছিল প্রবাসের ঘরে । আছিলাম এবে চলিলাম অন্য পুরে । সপার্ষদে তোমার