পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত.djvu/২৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>©Ꭽ - মধ্যমখণ্ড নিত্যানন্দ২ ৷ কদাচিৎ কখন প্রভুর বাহ হয়। প্রাণ যায় মোর সবে এই কথ, কয় ৷ প্ৰভু বোলে বাপ ক্লষ্ণ রাখিলেন প্রাণ। মারিলেন দেখি হেন জেঠী বল রাম। এতেক বলিয় প্রভু হেন মুচ্ছ যায়। দেখি ত্ৰাসে ভক্তগণ কান্দে উচরায় যে ক্রীড়ন করে প্রভু সেই মহাস্তুত। নানা ভাবে নৃত্য করে জগন্নাথ স্থত। কখনো বা বিরহ প্রকাশ হেন হয়। অকথ্য অস্তুত প্রেম সিন্ধু যেন বয়। হেন সে ভাবিয়া প্রভু করেন রোদন। শুনিতে বিদীর্ণ হয় অনন্ত ভুবন ॥ আপনার রসে প্রভু আপনে বিহবল ৷ অাপনা পাসরি যেন করেন সকল । পুর্বে যেন গোপী সব কৃষ্ণের বিরকে। পায়েন মরণ ভয় চন্দ্রের উদয়ে। সেই সব ভাব প্ৰভু করিয়া স্বীকার। কান্দেন সবার গলাধরিয়া অপার। ভাব বশে প্রভুর দেখিয়া বিহ্বলতা। রোদন করয়ে গৃহে শচী জগন্মাতা ৷ এইমত প্রভুর অপুৰ্ব্ব প্রেম ভক্তি। মনুষ্য কে তাহ বর্ণিবারে ধরে শক্তি ॥ নানাৰূপ নাট্য প্রভু করে দিনে দিনে। যে ভাব প্রকাশ প্রভু করে দিনেই ৷ এক দিন গোপী ভাবে জগৎ ঈশ্বর বৃন্দাবন গোপী২ বোলে নিরন্তর। কোন যোগে তাহ এক পড়ুয়া আছিল। ভাব মৰ্ম্ম না জানিয়; সে উত্তর দিল ॥ গোপী২ কেনে বল নিমাঞি পণ্ডিত। গোপী২ ছাড়ি কৃষ্ণ বলহ ত্বরিত ॥ কি পুণ্য জন্মিবে গোপী গোপী নাম লৈলে। কৃষ্ণ নাম লইলে সে পুণ্য বেদে বলে ॥ ভিন্ন২ ভাব প্রভুর সে অজ্ঞে নাহি বুঝে। প্রভু বলে দস্থ্য কৃষ্ণ কোন জনে ভজে। ক্লতল্প হইয়া বালি মারে দোষ বিনে । স্ত্রীজিত হইয়। স্ত্রীর কাটে নাক কানে ॥ সৰ্ব্বস্ব লইয়া বলি পাঠায়ে পাতালে। কি হইবে আমার তাহার নাম লৈলে ॥ এতবলি মহাপ্রভু স্তম্ভ হাতে লৈয়া । পড়ুয়া মারিতে যায় ভাবাবিষ্ট হৈয়। আথে ব্যথ পড়ুয়া উঠিয় দিল নড়। পাছে ধায় মহাপ্ৰভু বোলে ধরথ । দেখিয়া প্রভুর ক্রোধ ঠেঙ্গা হাতে ধায়। সত্বরে সংশয় মানি পড়য়া পলায় ॥ ভিন্ন ভাবে ধায় প্রভু ন জানে পড়ুয়া। প্রাণ লই মহাত্রাসে যায় পলইয়। আথে বাথে ধাইয়া প্রভুর ভক্তগণ আনিলেন ধরিয়া প্রভুরে ততক্ষণ ॥ সবে মেলি স্থির করাইলেনপ্রভুরে। মহাভয়ে পড়ুয়া পলাইয়া গেল দূরে ৷ সত্বরে চলিলা যথা পড়, য়ারগণ। সৰ্ব্ব অঙ্গে ঘৰ্ম্মশ্বাস বহে ঘনেঘন ॥ সম্ভমে জিজ্ঞাসে সবে ভয়ের কারণ। কি জিজ্ঞাস আজি ভাগ্যে রহিল জীবন ॥ সবে বড় সাধু বলে নিমাঞি পণ্ডিত । দেখিতে গেলাম আমি তাহার বাড়িত। দেখিলাম বসিয়া জপেন এই নাম। অহ র্ণিশ গোপী২ না বলয়ে আন ॥ তাতে অামি বলিলাম কি কর পণ্ডিত। কৃষ্ণ২ বল যেন শাস্ত্রের বিহীত ॥ এই বাক্য শুনি মহা ক্রৌধে অগ্নি হৈয়া । ঠেঙ্গ। হাতে আমা আনিলেক খেদাড়িয়া । কৃষ্ণেরেও হইল যতেক গালাগালি। তাহ। আর মুখে আমি আনিতে না পারি। রক্ষা পাইলাম আজি পরমায়ু গুণে কহি লাম এই আজুকার বিবরণে ॥ শুনিয়া হাসয়ে সব মহা মুখ গণে। বলগীতে