পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত.djvu/২৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬২ মধ্যমখণ্ড জন্মিল না জানে আছে কোথা । মুস্থিত হইয়া ক্ষণে পড়ে পৃথিবীতে । নিরবধি ধারাবহে নাপারে রাখিতে। বসিয়াছে মহাপ্রভু কমললোচন। কহিতে লাগিল শচী করিয়া ক্ৰন্দন ॥ ভাটিয়ারি রাগ i না যাইহ আরে বাপ মায়েরে ছাড়িয়া পাপিনী আছে যে সবে তোর মুখ দেখিয়া । কমল নয়ন তোমার শ্ৰীচন্দ্ৰ বদন অধর সুরঙ্গ কুন্দ মুকুত দশন । অমিয়া বরিষে যেন সুন্দর বচন। কেমনে বাচিব নাদেখি গজেন্দ্র গমন ॥ অদ্বৈত শ্ৰীবসিদি তোমার অনুচর। নিত্যানন্দ আছে তোর প্রাণের দোষর ॥ পরম বান্ধব গদাধর আদি সঙ্গে গৃহে রহি সংকীৰ্ত্তন কর ভূমি রঙ্গে ॥ ধৰ্ম্ম বুঝাইতে বাপ তোর অবভার। জননী ছাড়িবা কোন ধৰ্ম্ম বা বিচার। তুমি ধৰ্ম্মময় যদি জননী ছাড়িবা। কেমতে জগতে তুমি ধৰ্ম্ম বুঝাইব৷ প্রেম শোকে কহে শচী শুনে বিশ্বম্ভর । প্রেমেতে রোধিত কণ্ঠ না করে উত্তর ঐচৈতন্য নিত্যানন্দ চান্দ পহুজান । বৃন্দাবন দাস তছু পদযুগে গান। তোমার অগ্রজ আমা ছাড়িয়া চলিলা । বৈকুণ্ঠে তোমার বাপ গমন করিলা । তোমা দেখি সকল সন্তাপ পাসরিনু । তুমি গেলে প্রাণ মুঞি সৰ্ব্বথা ছাড়িমু প্রাণের গৌরাঙ্গ হেন বাপ অনাথিনী ছাডিতে না জুয়ায় । সভা লঞা কর নিজ অঙ্গনে কীৰ্ত্তন নিত্যানন্দ আছয়ে সহায় ॥ ধ্রু । তোমার প্রেমময় দুটি আখি দীঘ ভুজ দুই দেখি বচনেতে অমিয়া বরিষে। বিনী দীপে ঘর মোর তোর অঙ্গে উজোর রাঙ্গা পায়ে কত মধু বৈসে ॥ প্রেম শোকে কহে শচী বিশ্বশুর শুনে বসি যেন রঘুনাথে কৌশল্য বুঝায়। শ্রীচৈতন্য নিত্যানন্দ চন্দ্র জান বৃন্দাবন দাসে রস গায় ৷ এইমত বিলাপ করেন শচী মাতা । মুখ তুলি ঠাকুর না কহে কোন কথা । বিবর্ণ হইলা শচী অস্থিচৰ্ম্ম সার। শোক কুলী দেবী কিছু না করে অহোর। প্ৰভু দেখি জননীর জীবন না রহে। নিভৃতে বসিয়া কিছু গোপ্য কথা কহে। প্রভু বোলে মাতা তুমি স্থির কর মন। শুন যত জন্ম আমি তোমার নন্দন ॥ চিত্ত দিয়া শুনহ আপন গুণগ্রাম । কোন কালে আছিল তোমার প্রশ্নি নাম। তথাও আছিলে তুমি আমার জননী । তবে তুমি স্বৰ্গে হৈলে অদিতি আপনি ৷ তবে আমি হইল বামন অবতার। তথাও আছি লা তুমি জননী আমার। তবে তুমি দেবহুতি হৈলা আরবার। তথাও কপিল আমি নন্দন তোমার। তবেত কৌশল্য আরবার হৈলে তুমি । তথাও তোমার পুত্র রামচন্দ্র আমি। তবে তুমি মথুরায় দেবকী হইলা। কংসাস্থর অন্তঃপুরে বন্ধনে আছিল৷ তথাও আমার তুমি আছিলা জননী। তুমি সেই দেবকী দেব কী পুত্র আমি। আর দুই জন্ম এই সংকীৰ্ত্তনারম্ভে। হইব তোমার পুত্র আমি অবিলম্বে ॥ এইমত তুমি আমার মাতা জন্মে জন্মে । তোমার আমার কভো ত্যাগ নহে মৰ্ম্মে। অমায়া যে এই সব কহিলাম কথা। আর তুমি মনে দুঃখ না কর সৰ্ব্বথা