পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত.djvu/২৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> と り মধ্যমখণ্ড । পাবন তুমি মহা কৃপাময় ৷ তুমি সে দিবারে পার ক্লঞ্চ প্রাণনাথ। নির বধি কৃষ্ণচন্দ্র বসয়ে তোমাত ৷ কৃষ্ণদাস্য বিনু যেন মোর নহে আন । হেন উপ দেশ তুমি মোরে দেহ দান। প্রেম জলে অঙ্গ ভাসে প্রভুর কহিতে। হুঙ্কার করিয়া শেষে লাগিলা নাচিতে । গাইতে লাগিলা মুকুন্দাদি প্রিয়গণ নিজাবে শে মত্ত নাচে ঐশচী নন্দন ৷ অৰ্ব্ব দ২ লোক শুনি সেই ক্ষণে। আসিয়া মিলিল৷ নাহি জানি কোথাহনে ॥ দেখিয়া প্রভুর রূপ পরম সুন্দর। একদৃষ্টে পান সভে করেন নির্ভর । অকথ্য অদ্ভুত ধারা প্রভুর নয়নে। তাহ কি কহিলে হয় অনন্ত বদনে ॥ পাক দিয়া নৃতা করিতে যে ছুটে জল । তাহাতেই লোক স্নান করিল সকল । সৰ্ব্বলোক তিতিল প্রভুর প্রেম জলে । স্ত্রী পুরুষ বালবৃদ্ধ হরিহরি বলে ক্ষণে কম্প ক্ষণে স্বেদ ক্ষণে মুচ্ছ যায়। আছাড দেখিতে সৰ্ব্ব লোক পায় ভয় অনন্ত ব্ৰহ্মাণ্ড নাথ নিজ দাস্যভাবে । দন্তে তুণ করি সভাস্থানে দাস্তমাগে। সে কারুণ্য দেখিয়া কান্দয়ে সৰ্ব্ব লোক। পরমনিন্দক পাষণ্ডীও পায় শোক ॥ কেমনে ধরিব প্রাণ ইহার জননী। আজি তানে পোহাইল কি কাল রজনী ॥ কোন পুণ্য বর্তী হেন পাইলেক নিধি। কোম বা দারুণ দোষে হরিলেক বিধি ॥ আমরা সভের প্রাণ বিদরে দেখিতে । ভাৰ্য্যাব৷ জননী প্রাণ রাখিব কেমতে ॥ এইমত নারীগণ দুঃখ ভাবি কান্দে। পড়িলেন সৰ্ব্ব জীব চৈতন্যের ফানে ॥ ক্ষণেক সম্বরি নৃত্য বসে বিশ্বম্ভর। বসিলেন চতুর্দিগে সব অনুচর। দেখিয়া প্রভুর ভক্তি কেশব ভারতী। আনন্দ সাগরে পূর্ণ হই করে স্তুতি ॥ যে ভক্তি তোমার আমি দেখিলু নয়নে ! এ শক্তি অন্যের নহে ঈশ্বরের বিনে ॥ তুমি সে জগত গুরু জানিনু নিশ্চয় । তোমার গুরুর যোগ্য কভো কেহ নয়। তবু তুমি লোক শিক্ষা নিমিত্ত কারণে করিবে আমারে গুরু হেন লয় মনে ॥ প্ৰভু বোলে মায়া মোরে না কর প্রকাশ । হেন দীক্ষা দেহ যেন হওঁ কৃষ্ণদাস ৷ এইমত কৃষ্ণ কথা আনন্দ প্রসঙ্গে বঞ্চিলেন সে নিশা ঠাকুর সভা সঙ্গে ॥ পোহাইল নিশা সৰ্ব্ব ভুবনের পতি। আজ্ঞা করিলেন চন্দ্র শেখরের প্রতি ॥ বিধি যোগ্য যত কৰ্ম্ম সব কর তুমি । তোমারেই প্রতিনিধি করিলাম আমি। প্রভুর আজ্ঞায় চন্দ্রশেখর আচার্য। করিতে লাগিল। সৰ্ব্ব বিধি যোগ্য কাৰ্য্য ॥ নানা গ্রাম হৈতে সব নানা উপায়ন। আসিতে লাগিল অতি অকথ্য কখন। দধি দুগ্ধ ঘৃত চিনি তামুল চন্দন। পুষ্প যজ্ঞস্থত্র বস্ত্র আনে সৰ্ব্বজন । নানাবিধ ভক্ষ দ্রব্য লাগিল আসিতে। হেন নাহি জানি কে আনয়ে কোন ভীতে ॥ পরম আনন্দে সভে করে হরি দ্বনি। ত্রিবিধ লোকের মুখে অন্য নাহি শুনি। তবে মহাপ্রভু সৰ্ব্ব জগতের প্রাণ। বসিলা করিতে । ঐশিখার অন্তৰ্দ্ধ্যান ৷ নাপিত বসিলা আসি সমুখে যখনে ৷ ক্ৰন্দনের কলরব উঠিল তখনে ॥ খুর দিতে নাপিত সে চাচোর চিকুরে । হাত না