পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত.djvu/২৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈতন্যভাগবত 6: প্রভুর দর্শন। তবে প্রভু সৰ্ব্ব ভক্তগণ করি সঙ্গে । নীলাচল প্রতি শুভ করি লেন রঙ্গে ॥ প্রভু বলে শুন নিত্যানন্দ মহামতি। সত্বরে চলহ তুমি নবদ্বীপ প্রতি । শ্ৰীবাসাদিকরি যত সব ভক্তগণ। সভার করহ গিয়া দুঃখ বিমোচন । এই কথা গিয়া তুমি কহিও সভারে । আমি যাব নীলাচলচন্দ্ৰ দেখিবারে । সভার অপেক্ষা আমি করি শান্তিপুরে। রহিবাঙ শ্ৰীঅদ্বৈত আচার্য্যের ঘরে । তাসতী লইয়া তুমি আসিবা সত্ত্বর। আমি যাই হরিদাসের ফুলিয়া নগর । নিতানন্দে পাঠাইয়৷ শ্ৰীগের সুন্দর। চলিলেন মহাপ্ৰভু ফুলিয়া নগর। প্রভুর আজ্ঞায় মহা মত্ত নিত্যানন্দ । নবদ্বীপে চলিলেন পরম আনন্দ । প্রেমরসে মহা মত্ত নিত্যানন্দ রায়। হুঙ্কার গজ্জন প্রভু করয়ে সদায় ৷ মত্ত সিংহ প্রায় প্রভু আনন্দে বিহবল ৷ বিধি নিষেধের পার বিহার সকল । ক্ষণেকে কদম্ববৃক্ষে করি আরো হণ। বাজায় মোহন বেনু ত্রিভঙ্গ মোহন ৷ ক্ষণেকে দেখিয়া গোষ্ঠে গড়া গড়ি যায়। বৎস প্রায় হইয় গাবীর দুগ্ধ খায় ॥ আপন আপনি সৰ্ব্ব পথে নৃত্য করে। বাহ নাহি জানে ডুবি আনন্দ সাগরে ৷ কখন বা পথে সি করয়ে রোদন । হৃদয় বিদরে তাহা করিতে শ্রবণ ॥ কখন হাসেন অতি মহা অট্ট হাস। কখন বা শিরে বস্ত্র বান্ধি দিগবাস । কখন বা স্বানু BBB BBB BBB SSSSSS BBB BB DBBS BBB BBB BB BB ন্তের ভাবে প্রভু গঙ্গার ভিতর। ভাসিয়া জায়েন অতি দেখি মনোহর । অচিস্ত্য অগণ্য নিত্যানদের মহিমা । ত্রিভুবনে অদ্বিতীয় কারুণ্যের সীমা ৷ এইমত গঙ্গা মধ্যে ভাসিয়া২। নবদ্বীপে প্রভুর ঘাটে উঠিল। আসিয়া । আপনা সম্বরি নিত। নন্দ মহাশয় । প্রথমে উঠিলা আসি প্রভুর আলয় ॥ আসিয়া দেখয়ে আই দ্বাদশ উপাম । সবে কৃষ্ণ ভক্তি বলে দেহে আছে শ্বাস ॥ যশোদার ভাবে আই পরম বিহবল ৷ নিরবধি নয়নে বহয়ে প্ৰেমজল যারে দেখে আই তাহারেই বাৰ্ত্তা কহে। মথুরার লোক কি তোমরা সব হয়ে ॥ কহ২ রাম কৃষ্ণ অাছেন কেমনে বলিয়া মুচ্ছিত হঞা পডিলা তখনে ॥ ক্ষণে বলে আই ওই শুনি বেনু বাজে। তা ত্রুর আইলা কিবা পুন গোষ্ঠ মাঝে । এইমত আই কৃষ্ণ বিরহ সাগরে। ডুবিয়া আছেন বহি নাহিক শরীরে । নিত্যানন্দ মহাপ্ৰভু হেনই সময়ে। আইর চরণে আসি দণ্ডবৎ হয়ে ॥ নিত্যানন্দ দেখি সব ভাগবতগণ । উচ্চস্বরে লাগিলেন করিতে ক্ৰন্দন ॥ বাপ২ বলি আই হইল। মুচ্ছিত। না জানিযে কেবা কান্দে পডে কোন ভীত ॥ নিত্যানন্দ মহাপ্ৰভু সবাকরি কোলে। সিঞ্চিলেন সভার শরীর প্ৰেমজলে। শুভবাণী নিত্যানন্দ কহেন সভারে । সত্বরে চলহ সবে প্রভু দেখি বারে । শান্তিপুর গেল প্রভু আচার্য্যের ঘরে । আমি আইলাম তোম। সভারে নিবারে । চৈতন্য বিরহে জীর্ণ সৰ্ব্ব ভক্তগণ। পূর্ণ হৈলা শুনি নিত্যানন্দের বচন