পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত.djvu/২৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈতন্যভাগবত 영 হরি দ্বনি ৷ এইমত আনন্দে চলিলা সৰ্ব্ব লোক। পাসরিয়া ক্ষুধা তৃষ্ণ গৃহ ধৰ্ম্ম শোক ॥ আইলা সকল লোক ফুলিয়া নগরে ৷ ব্ৰহ্মাণ্ড স্পর্শিয়া হরি বলে উচ্চস্বরে শুনিয়া অপূৰ্ব্ব অতি উচ্চ হরি দ্বনি। বাহির হইলা সৰ্ব্বন্যাসী চুড়ামণি ॥ কি অপূৰ্ব্ব শোভা সে কহিল কিছু নয়। কোটি চন্দ্ৰ যেন আসি করিল উদয় ॥ সৰ্ব্বদা প্রমুখে হরে কৃষ্ণ হরে হরে ৷ বলিতে আনন্দ ধারা নিরবধি ঝরে ॥ চতুদিগে সৰ্ব্ব লোক দণ্ডবৎ হয় । কে কার উপরে পড়ে নাছি সমুচ্চয় ॥ কণ্টক ভূমিতে লোক নাহি করে ভয় । আনন্দিত সৰ্ব্ব লোক দ গুবৎ হয়। সৰ্ব্বলোক ত্রজিং বলে হাত তুলি । এমত করয়ে গৌরচন্দ্র কুতুহলী ৷ অনন্ত অৰ্ব্বদ লোক একত্র হইল। কি প্রাস্তুর কিবা গ্রাম সকল পুরিল । নানা গ্রাম হৈতে লোক লাগিলা অসিতে । কেহ নাহি যায় ঘর সে মুখ দেখিতে হইতে লাগিল বড় লোকের গহন । গৌরাঙ্গ পূর্ণিত মন হৈল সৰ্ব্বজন ॥ দেখি গৌরচন্দ্রের শ্ৰীমুখ মনোহর। সৰ্ব্বলোক পূর্ণ হৈল বাহির অন্তর। তবে প্ৰভু কৃপা দৃষ্টি করির সভারে। চলিলেন শান্তিপুর আচার্য্যের ঘরে ৷ সন্ত্রমে অদ্বৈত দেখি নিজ প্রাণ নাথ । পাদপদ্মে পড়িলেন হই দণ্ডবৎ ৷ আৰ্ত্তনাদে লাগিলেন করিতে ক্ৰন্দন। না ছাড়েন প্রভুর অমূল্য পদধন ৷ শ্ৰীচরণ অভিবেক করে প্রেম জলে। আনন্দে মূচ্ছিত হইলেন পদতলে ॥ দুইহস্তে তুলি প্রভু লইলেন কোলে । আচাৰ্য্য ভাসিলা ঠাকুরের প্ৰেম জলে । স্থির হই ঠাকুর বসিলা কথো ক্ষণে । উঠিল পরমানন্দ অদ্বৈত ভবনে ॥ দিগম্বর শিশুৰূপ অদ্বৈত তনয় । নাম ঐআচুতানন্দ মহা জ্যোতিৰ্ম্ময়। পরম সৰ্ব্বজ্ঞ তিহো অকথ্য প্রভাব । যোগ্য অদ্বৈতের পুত্র সেই মহাভাগ ॥ ধূলাময় সৰ্ব্ব অঙ্গ হাসিতেই জানিয়া আইলা প্ৰভু চরণ দেখিতে ॥ আসিয়া পডিলা গৌরচন্দ্র পদতলে । ধুলার সহিত প্রভু লই লেন কোলে। প্রভু বোলে অচ্যুত আচাৰ্য্য মোর পিতা। সে সম্বন্ধে তোমায় আমায় দুই ভ্রাত। অচ্যুত বলেন তুমি দৈবে জীব সখা । সেবকে তোমার বাপ তার নাহি লেখা । হাসে প্রভু ভক্তগণ অচ্যুত বচনে । বিস্ময় সভার বড় উপজিল মনে ॥ এসকল কথাত শিশুর কভু নহে। নাজানি জন্মিয়াছেন কোন মহাশয়ে হেনই সময়ে শ্ৰীঅনন্ত নিত্যানন্দ । আইলা নদীয়া হৈতে ভক্তবৃন্দ সঙ্গ ॥ ঐবা সাদি ভক্তগণ দেখিয়া ঠাকুর। লাগিলেন হরিদ্বনি করিতে প্রচুর । দণ্ডবৎ হইয়া সকল ভক্তগণ ক্ৰন্দন করেন সভে ধরি শ্ৰীচরণ । সভারে করিলা প্রভু আলি ঙ্গন দান। সভেই প্রভুর নিজ প্রাণের সমান ৷ আৰ্ত্তনাদে ক্ৰন্দন করয়ে ভক্তগণ শুনিয়া পবিত্র হয় সকল ভুবন । কৃষ্ণপ্রেমানন্দে কান্দে যে মুকুতি জন। সে ধনি শ্রবণে সৰ্ব্ব বন্ধ বিমোচন। চৈতন্য প্রসাদে ব্যক্ত হৈল হেন ধন। ব্ৰহ্মাদির দুৰ্লভ প্রেম ভুঞ্জে যেতে জন ৷ ভক্তগণ দেখি প্ৰভু পরম হরিষে। মৃত্য আর