পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত.djvu/৩০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈতন্যভাগবত্ত । لا يلي সন্ন্যাসীর রূপে বৈকুণ্ঠের অধিপতি। কীৰ্ত্তন করেন সৰ্ব্ব ভক্তের সংহতি। চৈত ন্যের রসে নিত্যানন্দ মহাধীর । পরম উদাম এক স্থানে নহেস্থির। জগন্নাথ দেখি য়া যায়েন ধরিবারে। পড়িহারি গণে কেছ রাথিতে না পারে। একদিন উঠিয়া সুবর্ণ সিংহাসনে বলরাম ধরিয়া করিলা আলিঙ্গনে ॥ উঠিতেই পড়িহারি ধরি লেক হাতে। ধরিতে পড়িলা গিয়া হাত পাচসাতে ॥ নিত্যানন্দ প্রভু বলরামের গলার । মালা লই পরিলেন গলে আপনার ॥ মালা পরি চলিলেন গজেন্দ্র গম নে। পড়িহারি উঠিয়া চিন্তেন মনেমনে ॥ এত অবধুতের মনুষ্যশক্তি নহে। বলরাম স্পর্শে কি অন্যের দেহ রহে ৷ মত্তহস্তি ধরি মুঞি পারে। রাখিবারে । আমি ধরি লেও কি মনুষ্য যাইতে পারে। হেন মুঞি হস্ত দৃঢ় করিয়া ধরিত্ন । তৃণ প্রায় হই গিয়া কোথায় পড়িলু । এইমত চিন্তে পড়িহারি মহাশয় । নিত্যানন্দ দেখিলেই করেন বিনয় । নিত্যানন্দ স্বৰূপ সভারে বাল্য ভাবে । আলিঙ্গন করেন পরম অনু রাগে । ভবে কথোদিনে গৌরচন্দ্র লক্ষ্মীপতি। সমুদ্র তীরেতে আসি করিল। বসতি। সিন্ধুতীর স্থান অতি রম্যমনোহর। দেখিয়া সন্তোষ ৰভু শ্ৰীগৌরসুন্দর চন্দ্রবর্তী রাত্রী বহে দক্ষিণ পবন । বৈসেন সমুদ্র কুলে শ্ৰীশচী নন্দন ॥ সৰ্ব্ব অঙ্গ গ্রমস্তক শোভিত চন্দনে। নিরবধি হরে কৃষ্ণ বলে ঐবদনে ॥ মালয়ে পূর্ণিত বক্ষ অতি মনোহর। চতুর্দিগে বেড়িয়া আছয়ে অনুচর। সমুদ্রের তরঙ্গ নি শায় শোভা অতি। হাসি দৃষ্টি করে প্রভু তরঙ্গের প্রতি ॥ গঙ্গা যমুনার যত ভাগ্যের উদয়। তাহ পাইলেন ইবে সিন্ধু মহাশয় ॥ হেনমতে সিন্ধুতীরে বৈকুণ্ঠ ঈশ্বর । বসতি করেন লই সৰ্ব্ব অনুচর ॥ সৰ্ব্বরাত্রি সিন্ধু তীরে পরম বিরলে কীৰ্ত্তন করেন প্রভু মহাকুতুহলে। তাণ্ডব পণ্ডিত প্রভু নিজ প্রেমরসে । করেন তা গুব ভক্তগণ সুখে ভাসে ॥ রোমহর্ষ অশ্রমকম্প হুঙ্কার গজ্জন । স্বেদ বহুবিধ বর্ণ হয় ক্ষণে ক্ষণ ॥ যত ভক্তি বিকার সকল একবারে। পরিপূর্ণ হয় আসি প্রভুর শরীরে। যত ভক্তি বিকার সভেই মূৰ্ত্তিমস্ত। সভেই ঈশ্বর কলা মহাজ্ঞান বন্ত ॥ আপনে ঈশ্বর নাচে বৈষ্ণব আবেশে । জানি সভে নিরবধি থাকে প্রভু পাশে । অতএব ডিলাদ্ধ বিচ্ছেদ প্রেমসনে । নাছিক গৌরাঙ্গ সুন্দরের কোন ক্ষণে ॥ যতশক্তি ঈষৎ লীলায় করে প্রভু। সেহ আর অন্যেরে সম্ভব্য নহে কভু ইহাতে সে তান শক্তি অসম্ভব্য নয়। সৰ্ব্ব বেদে ঈশ্বরের এই তত্ত্ব কয়। যে প্রেম প্রকাশে প্ৰভু চৈতন্য গোসাঞি। তাছাবই অনন্ত ব্ৰহ্মাণ্ডে আর নাঞি এতেকে যে শ্রীচৈতন্য প্রভুর উপমা । তাহাবই আর কারে দিতে নাহি সীমা সভে যারে শুভ দৃষ্টি করেন আপনে। সেই সে তাহান শক্তি ধরে তত্ব জানে অতএব সৰ্ব্বভাবে ঈশ্বর শরণ । লইলে সে ভক্তি হয় খণ্ডয়ে বন্ধন । যে প্রভুরে অজভব অাদি ঈশগণে । পুর্ণ হইয়াও নিরবধি ভাবে মনে ॥ হেন প্রভু আপনে