পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত.djvu/৩৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈতন্যভাগবত । న) { ঈশ্বর কেবল। দেখিয়া অদ্বৈত হৈল আনন্দে বিহবল ৷ হরিষে করেন পত্নি সহিতে সেবন। পাদপ্রক্ষালিয়া দিল ঐঅন্নব্যঞ্জন বসিলেন মহাপ্রভু আনন্দ ভোজনে। অদ্বৈত করেন পরিবেশন অপিনে ॥ যতেক ব্যঞ্জন দেন অদ্বৈত হরিষে প্রভুও করেন পরিগ্রহ প্রেমরসে যতেক ব্যঞ্জন প্ৰভু ভোজমকরেন। সকলের কিছুই অবস্ত রাখেন। অদ্বৈতের প্রতি প্রভু বলেন হাসিয়া। কেনে রাখি ব্যঞ্জন জানহ তুমি ইহা কতেক ব্যঞ্জন খাই চাহি জানিবার। অতএব কিছু২ রাখিযে সভার। হাসিয়া বলেন প্রভু শুনহ আচার্য । কোথায় শিখিলা এত রন্ধনের কাৰ্য্য। আমিত এমন কৰ্ভু নাহি খাই শাক। সকল বিচিত্ৰযত কপ্লিয়াছ পাক ৷ যত দেন অদ্বৈত সকল প্রভুখায় । ভক্তবাঞ্ছা কল্পতরু শ্ৰীগৌরাঙ্গ রায় ॥ দধি দুগ্ধবৃতসর সন্দেশ অপার । যতদেন সব প্রভু করেন স্বীকার। ভোজন করেন ঐচৈতন্য ভগবান । অদ্বৈত সিংহের করি পূর্ণ মনস্কাম ॥ পরিপূর্ণ হৈল যদি প্রভুর ভোজন । তখনে অদ্বৈতকরে ইন্দ্রের স্তবন ৷ আজি ইন্দ্র জানিলু তোমার অনুভব । আজি জানিলাম তুমি নিশ্চয় বৈষ্ণব ৷ আজি হৈতে তোমারে দিলাম পুষ্প জল। আজি ছৈতে আমা তুমি কিনিলা কেবল ॥ প্রভু বলে আজি যে ইন্দ্রের বড় স্ততি । কি হেতু ইহার কহ দেখি মোর প্রতি ॥ অদ্বৈত বলেন তুমি করহ ভোজন। কি কাৰ্য্য তোমার ইহা করিয়৷ শ্রবণ ৷ প্ৰভু বলে আর কেনে লুকাও আচাৰ্য্য। ষত ঝড বৃষ্টি সব তোমার সে কাৰ্য্য। ঝডের সময় নহে তবে অকস্মাৎ । মহা ঝড় মহা বৃষ্টি মহা শিলাপাত ॥ তুমি ইচ্ছা করিয়া সে এসব উৎপাত। করাইয়া আছ তাহ জানিনু সাক্ষাৎ ॥ যে লাগি ইন্দের দ্বারে করা ইলা ইহা ! তাহা কহি এই আমি বিদিত করিয়া ৷ সন্ন্যাসীর সঙ্গে অামি করিলে ভোজন। কিছু না খাইব আমি এই তোমার মন । একেশ্বর আইলে আমারে সকল খাওয়াইয় নিজ ইচ্ছা করিব সফল ৷ অতএব এসকল উৎপাত হজিয়া । নিষে ধিলে ন্যাসীগণ মনে আজ্ঞা দিয়া ৷ ইন্দ্ৰ আজ্ঞাকারি এতোমার কোন শক্তি । ভাগ্য সে ইন্দ্রের যে তোমারে করে ভক্তি ৷ কৃষ্ণ না করেন যার সঙ্কল্প অন্যথা । যে কবিতে পারে কৃষ্ণ সাক্ষাৎ সৰ্ব্বথা । কৃষ্ণচন্দ্র যার বাক্য করেন পালন । কি অন্তত তারে এই ঝড় বরিষণ ॥ যমকাল মৃত্যুযার আজ্ঞাশিরে ধরে। যার পদ বাঞ্ছে যোগে শ্বর মুনীশ্বরে ৷ যেতোমা স্মরণে সৰ্ব্ব বন্ধ বিমোচন। কি বিচিত্র তার এই বাড় বরিষণ ॥ তোমা জানে হেনজন কে আছে সংসারে । তুমি কৃপা করিলে সে ভক্তি ফল ধরে। অদ্বৈত বলেন তুমি সেবক বৎসল। কায়মন বাক্য আমি ধরি এই বল। সৰ্ব্বকাল সিংহ আমি তোর ভক্তি বলে। এইবর মোরে না ছাড়িবা কোন কালে ৷ এইমত দুই প্রভু বাক বাক্য রসে । ভোজন সংপূর্ণ হইল আনন্দ বিশে বে। অদ্বৈতের ভ্রমুখের এসকল কথা । সত্য সত্য সত্য ইথে নাহিক অন্যথা ।