পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত.djvu/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈতন্যভাগবত । 8 No) ধাতু না হক শরীরে । মুচ্ছিত হইয়া দোহে পডিলা ভূমিত। দেখি সৰ্ব্ব লোক আসি হইল বিস্মিত । সকল বৃত্তান্ত কহিলেন শিশুগণ। কেহ২ বুঝিলেন ভাবের কারণ ॥ পূৰ্ব্বে দশরথ ভাবে এক নটবর। রাম বনবাসী শুনি তেজে কলেবর ॥ কেহ বলে কাছ কাছিয়াছে যে ছাওয়াল । হনুমান ঔষধি দিলে হইবেক ভাল ॥ পূৰ্ব্বে প্রভু শিখাইয় ছিলেন সভারে । পড়িলে তোমরা বেড়ি কান্দিহ আমারে ॥ ক্ষণেক বিলম্বে পাঠাইয় হনুমান । নাকে দিলে ঔষধি আসিবে মোর প্রাণ ॥ নিজ ভাবে প্রভু মাত্র হৈলা অচেতন। দেখি বড় বিকল হইল। শিশুগণ ॥ ছন্ন হইলেন সভে শিক্ষা নাহি স্ফুরে। উঠ ভাই বলি মাত্র কান্দে উচ্চস্বরে ৷ লোক মুখে শুনি কথা হইল স্মরণ । হনুমীন কাছে শিশু চলিল তখন ॥ আর এক শিশু পথে তপ স্বীর বেশে। ফল মুল দিয়া হনুমানেরে আশংষে ॥ রহ বাপ ধন্য কর অা মার আশ্রম । বড় ভাগ্যে আসি মিলে তোমা হেনজন। হনুমান বলে কাৰ্য্য গেী রবে চলিব। আসিবারে চাহি রহিবারে না পারিব ॥ শুনিয়াছ রামচন্দ্র অনুজ লক্ষণ ॥ শক্তিশেলে র্তারে মুচ্ছ করিল রাবণ ॥ অতএব যাব আমি গন্ধমাদন । ঔষধি আনিলে রহে তাহার জীবন ॥ তপস্বী বলয়ে মদি যাইবা নিশ্চয় । স্নান করি কিছু খাই করহ বিজয় ॥ নিত্যানন্দ শিক্ষাতে বালক কথা কয়। বিস্মিত হইয়া সৰ্ব্ব লোকে রহি চায় । তপস্বীর বোলে সরোবরে গেলা স্নানে। কুম্ভীরের বেশ শিশু ধরে ততক্ষণে ॥ অগাধ জলেতে যায় চরণ ধরিয়া । হনুমান শিশু তোলে কুম্ভীর টানিয়া। কতক্ষণ যুদ্ধ করি জিনিয়া কুম্ভীর। আসি দেখে হনুমান আর মহা বীর। আর এক শিশু ধরি রাক্ষসের কাছ। হনুমানে খইবারে যায় তার পাছ ৷ কুম্ভীর জিনিলে মোরে জিনিবা কেমনে । তোমা খাই এবে কেবা জীয়াবে লক্ষণে ॥ হনুমান বলে তোর রাবণ কুকুর। তারে নাহি বস্তুজ্ঞান ভুঞি পাপী দুর। এইমত দুইজনে হয় গালাগালি। শেষে হয় চুলচুলি তবে কিল৷ কিলী ৷ কতক্ষণে সে কৌতুকে জিনিয়া রক্ষিসে । গন্ধমাদনে আসি হইল প্ৰ বেশে । তাহ গন্ধৰ্ব্বের বেশ ধর শিশুগণ । তাসভার সঙ্গে যুদ্ধ হয়ে কতক্ষণ কৌতুকে গন্ধৰ্ব্ব জিনি থাকে কতক্ষণ। শিরে করি আইলেন গন্ধমাদন। আর এক শিশু তহি বৈদ্যৰূপ ধরি। ঔষধি দিলেক নাকে স্ত্রীরাম সপ্তরি। নিত্যানন্দ মহাপ্রভু উঠিলা তখনে। দেখি মাতা পিতা লোক হাসে সৰ্ব্বজনে ॥ কোলে করি লেন গিয়া হাড,ই পণ্ডিত। সরল বালক হইলেন হরমিত ॥ সভে বেলে,বাপ ইহা কোথায় শিখিলা। হাসি বোলে প্রভু মোর এসকল খেলা ৷ প্রথম বয়স প্রভু অতি সুকুমার। কোলে হুৈতে ক-রোচিত্তে নাহি এড়িবার ॥ সৰ্ব্ব লেকি পুত্ৰ হৈতে বড় স্নেহ বাসে। চিনিতে না পারে কেহ বিষ্ণুমায় বসে। হেন মতে শিশুকাল হৈতে নিত্যানন্দ । কৃষ্ণলীলা বিনা আর না করে আনন্দ ॥ পি ত্ৰা মাত গৃহ ছাড়ি সৰ্ব্ব শিশুগণ নিত্যানন্দ সংহতি বিহরে সৰ্ব্বক্ষণ ॥ সে সব