পাতা:শ্রীশ্রীনবদ্বীপ-দর্পণ - ব্রজমোহন দাস.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*一 — শ্ৰীশ্ৰীগৌরাঙ্গ সুন্দর। by ভ্রাতার মানরক্ষা করিতে কুষ্ঠিত হইলেন না ! ! অতএব ঈদৃশ স্বাৰ্থত্যাগ ও মহৎ হৃদয়ের পরিচয় কত জনা দেখাইতে পারেন জানি না !! ... আজি v, তারাপদ বাবুর কন্যা বাস্তবিকই কাঙ্গালিনী সাজিয়াছেন। এত দিবস যিনি আমাকে আনুকুল্য করিয়াছেন, আজ তাহাকে সংরক্ষণের জন্য আমাকে দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করিবার আবশ্যক হইয়াছে ! ইহাতে যদি শ্ৰীবৈষ্ণব সমাজ আমাকে বর্জন করেন তাহাতে আমি কিছুমাত্র বিচলিত হইব না। উনি ব্রাহ্মণকান্ত, আমার মাতৃস্থানীয়া! ইহঁার এই দুঃসমছে যদি আমি স্বীয় গৌরবরক্ষার জন্য স্থানান্তরে চলিয়া যাই, তাহা হইলে আমার ন্যায় অকৃতজ্ঞকে।। শ্ৰীশ্ৰীগৌরাঙ্গসুন্দর কখনই অনুগ্রহ করিবেন না । অতএব আমি এখন বাস্তবিকই “সঞ্জোগী।" ইএ সম্বন্ধে কিছুমাত্ৰ সন্দেহ নাই। যদি মনুষ্যত্বকে বিসৰ্জন দিয়া সম্মালাভ করিতে হয় তাহা হইলে যেন আমি জন্মে জন্মে এরূপভাবেই 'পত্তিত থাকি ! ! পতিত না হইলে পতিতে রংঠাকুরকে কখনই আকুলকণ্ঠে ডাকিতে পারিব না। এই লাঞ্ছনার মধ্যেও আমি শ্ৰীশ্ৰীগৌরসুন্দরের পূর্ণ কৃপা উপলব্ধি করিতে পারিব। -- যেহেতু মনে কোন দন্তভােব জাগ্রত হইবে না ! ! সংক্ষেপে ইহার গুরু পরম্পরার পরিচয় ও স্বভাব এবং ক্রিয়াকলাপের বিষয় উল্লেখ করা যাইতেছে-গুরু-প্ৰণালী- “শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্ৰভু, তদনুগত ( ১ ) শ্ৰীগোপালভট্ট গোস্বামী, তদনুগত ( ২৪) শ্ৰীনিবাসাচাৰ্য্য প্ৰভু, তদনুগতা (৩) শ্ৰীগৌরাঙ্গপ্রিয়া ঠাকুরাণী, তদনুগত ( ৪ ) শ্ৰী সুচিত্ৰা ঠাকুরাণী, তদনুগতা ( ৫ ) শ্ৰী রূপমঞ্জরী ঠাকুরাণী, তদনুগত ( ৬ ) শ্ৰী বিজয়গোবিন্দ ঠাকুর, তদনুগত (৭) শ্ৰীঅনন্তলাল ঠাকুর, তদনুগত (৮) শ্ৰী রাসবিহারী চট্টোপাধ্যায়, তদনুগত (৯) শ্ৰীনবনলিনী দেবী ।” ইহার গুরুপাট ও পিতৃ-জন্মস্থান “কঁাটোয়া” নামক প্ৰসিদ্ধ স্থানে অবস্থিত। শ্ৰীশ্ৰীগদাধর দাস ঠাকুরের সেবিত শ্ৰীশ্ৰীমহাপ্রভুর সেবাধিকারী প্ৰসিদ্ধ পণ্ডিত শ্ৰীযুক্ত রাসবিহারী চট্টোরাজ না চট্টোপাধ্যায় মহাশয় ইহার সম্পকত মাতুল ও দীক্ষাগুরু। শ্ৰী পাট অম্বিকার সুপ্ৰসিদ্ধ বাবাজী মহারাজ সিদ্ধ ভগবান দাসজীউর প্রিয় শিষ্য শ্ৰদ্ধেয় । বাবাজী জগদীশ দাস মহাশয়, যিনি শ্ৰীবৃন্দাবনে “কালীদহের বাবাজী” নামে সুবিখ্যাত ছিলেন, এই শ্ৰীনিবনলিনী দেবী তাহারই ‘শিক্ষার শিষ্যা" হয়েন । , শৈশবকাল হইতেই উনি সংসার-অনাসক্তা ছিলেন । তঁাহার মাতা । তাহাকে বহু যত্ন করিয়াও আমিষ্য ভোজন করাইতে পারেন নাই। ইহার মনের গতি ও স্বভাব বুঝিতে পারিয়া পিতৃদেব অত্যন্ত সন্তুষ্টচিত্ত হইয়া শ্ৰীশ্ৰীভগবদগীতা, শ্ৰীমদ্ভাগবত ও শ্ৰীশ্ৰীচৈতন্যচরিতামৃত গ্ৰন্থ অধ্যয়ন করাইতে লাগিলেন । উনি ইংরাজী বিদ্যায়ও অনেক বুৎপত্তি লাভ করিয়াছিলেন। কিন্তু চক্ষু খারাপ হওয়াতে বিদ্যাধ্যয়ন কাৰ্য্যে বিরত হয়েন, ইহার চক্ষু রক্ষা করিবার জন্য ৬৮ তারা পদ বাবুর পাঁচ হাজার টাকার অধিক ব্যয়ও হইয়াছিল। সেই অবধি ডাক্তারদের পরামর্শে উহাকে চাসমা ব্যবহার করিতে হয় , উনি স্বীয় উদ্ভাবনীশক্তি দ্বারা শ্ৰীশ্ৰী রাসপঞ্চাধ্যায়ের বিষগুলির কবিতার চনাকাৰ্য্য ১৬ বৎসর বয়সে সম্পন্ন করিয়াছিলেন। . ইহার সংসার বৈরাগ্য ভাব দেখিয়া, জননী প্ৰমদাসুন্দরী দেবীর মনে আশঙ্কা হওয়াতে শীঘ্ৰ বিবাহের বন্দোবস্ত করিয়া কুলিকাতা বাদুড়বাগান নিবাসী শ্ৰীযুক্ত অবনীমোহন চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের সঙ্গে পরিণয়কাৰ্য্য সম্পন্ন করাইয়াছিলেন। কিন্তু উহার সংসার বৈরাগ্যভাৰ Digitized at BRCIndia.com