পাতা:শ্রীশ্রীনবদ্বীপ-দর্পণ - ব্রজমোহন দাস.pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীশ্ৰীগৌরাঙ্গ সুন্দর। — সেবাকাৰ্য্যে ব্ৰতী হইলাম। পারমাথিক সম্বন্ধেও উনি আমার "গুরুভগিন" হয়েন । যেহেতু কালীদহের জগদীশ দাস বাবাজী ও আমার ইষ্টদেব শ্ৰীশ্ৰীগৌরচরণ দাস বাবাজী মহাশয় (যিনি সখ্য ভাবাশ্রিত ছিলেন ও শ্ৰীব্ৰঙ্গমণ্ডলবাসী বৈষ্ণবগণ যাহাঁকে “কুঞ্জরার বাবাজী’ নামে নির্দেশ করিয়া থাকেন, তাহারা ) উভয়েই কালনার সিদ্ধ শ্ৰীশ্ৰীভগবান দাস বাবাজী মহারাজের সম্পর্কে পরস্পর "গুরুভাই” ছিলেন। অতএব শ্ৰীশ্ৰীজগদীশ দাস বাবাজী আমার ‘কাকা গুরু” হয়েন । সুতরাং এই শ্ৰীনবনলিনী দেবী উভয় সম্পর্কেই আমার “ভগিনী।” হয়েন। মধ্যে মধ্যে কোনূ বিষয় লইয়া এই শ্ৰীনবনলিনী এরূপ জিগীষা আরম্ভ করেন যে, তাহা কিছুতেই ছাড়েন না। সেইজন্য মধ্যে মধ্যে অনেক লোকBB BD BB DDD SS DDB DDD S DD DDBBD DBB S BDBDS যাইতেছে :- ১। শ্ৰীহট্টের হবিগঞ্জ মহকুমার "সুঘড়” নামক স্থানের শ্ৰীজানকীনাথ মজুমদার নামক কোন সন্ত্রান্ত বংশীয় নব্য যুবক শ্ৰীবৃন্দবনাদি দর্শনের জন্য মাতা পিতার অজ্ঞাতে গমন করেন। কিছু দিনান্তর ঐ জানকীনাথ মজুমদার শ্ৰী রাধা, কুণ্ডে শ্ৰীশ্ৰীগদাধর চৈতন্তের মন্দিরে বাস করিয়া বিশেষ সংযতচিত্তে কালব্যাপন করিতে লাগিলেন । তথায় শ্ৰীল নিত্যানন্দ দাস বাবাজী প্রভৃতির একান্ত ইচ্ছা! হইল যে, উহাকে ডুর কৌপীন পরাইয়া শীঘ্ৰ "বিরক্ত সম্প্রদায়ের* মধ্যে গ্ৰহণ করা হয়। কিন্তু এই শ্ৰীনবনলিনী তাহা করিতে না দিয়া জানকীর পিতা মাতাকে সংবাদ দিয়া আনাইয়া তাহাকে তঁাহাদের হস্তে সমৰ্পণ করেন। ২। এই শ্ৰীনবদ্বীপের শ্ৰী রাধারমণ বাগে পূজ্যপাদ বাবাজী রাধারমণ চরণদাস জীউর শিষ্যগণ মধ্যে দুই জনা শ্ৰীশ্ৰীব্রাধিক “জীউর। সখী ভাবের’ উপাসক হয়েনি। তঁহাদের নাম যথা-(১) শ্ৰী রাধাবিনোদিনী সখী ও (২) শ্ৰী ললিতা সখী। উহাঁদের গুরুভ্রাতা শ্ৰীল শ্ৰী রামদাস বাবাজীর নাম বিশেষ উল্লেখযোগ্য । উহার অনুরাগপূর্ণ আবেগভরা গান শ্রবণে অতি পাষাণ হৃদয়েও শ্ৰীশ্ৰীভক্তিদেবীর উদয় হইয়া থাকেন। এই মহানুভবের আচরণ দেখিয়া, বাঙ্গালা, বেহার, উৎকলদেশ ও মান্দ্রাজের অনেকস্থানে ভক্তি-সম্বন্ধীয় অনেক আন্দোলন হইতেছে। শ্ৰীশ্ৰীনীলাচলে শ্ৰীমন্মহাপ্ৰভু-সম্পৰ্কীত অনেকটা স্থানের ও তাৎকালিক অনেকটা কাৰ্য্যের উন্নতি সাধিত হইতেছে। যদি সাম্প্রদায়িক দলাদলি পরিত্যাগ করিয়া গুণের আদর করিতে হয়, তাহা হইলে নিরপেক্ষভাবে এইমাত্র বলিতে পারি যে, “বৰ্ত্তমান সময়ে শ্ৰীমন্নিত্যানন্দ প্ৰভু-প্রচারিত শ্ৰীশ্ৰীসঙ্কীৰ্ত্তন মহোৎসবের প্রসার কাৰ্য্যে শ্ৰীল রামদাস বাবাজীর ন্যায় অনুরাগী ও উৎসাহশীল ব্যক্তি বৰ্ত্তমান সময়ে শ্ৰীশ্ৰীগৌড়ীয়-বৈষ্ণবসমাজে অতি অল্পই দেখিতে পাওয়া যায়। উহাদের গুরুদেব পূজ্যপাদ রাধারমণ চরণদাস বাবাজী মহাশয় একজন অসাধারণ ক্ষমতাশালী ও স্বাধীনচেতা এবং উন্নত হৃদয়বিশিষ্ট ছিলেন । তিনি “ভজ নিতাই গৌর রাধেশ্রাম। জপ হরে কৃষ্ণ হরে রাম|” সম্বন্ধীয় একটী সহজসাধ্য নাম কীৰ্ত্তনের রীতি প্ৰবৰ্ত্তিত করিয়া এক নূতন মত শ্ৰীবৈষ্ণবসমাজে প্ৰবৰ্ত্তন করিয়া গিয়াছেন। শিশুগণ পৰ্য্যন্ত ঐ নাম কীৰ্ত্তনে উন্মত্ত হইয়া থাকে। বৰ্ণিত বাবাজী মহাশয় শ্ৰীনবদ্বীপস্থ দেবালয়গুলির দর্শনী-ভেট” নিবারণের জন্য 'অনেক পরিশ্রম করিয়াও ঐ প্রথা বারণ করিতে না পারিয়া অত্যন্ত দুঃখ-সন্তপ্ত চিত্ত হইয়াছিলেন। উইার নিজের ঠাকুরের নাম ‘শ্ৰীশ্ৰী রাধারমণ জীউ ।” SqSLLLGLGLkLk LLTLTLMTGLGGGLSqSqqS