পাতা:শ্রীশ্রীনবদ্বীপ-দর্পণ - ব্রজমোহন দাস.pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

i जैवैशौद्रांत्र श्नद्र। b Öሕ করিও না। আমার শ্ৰীমূৰ্ত্তি প্ৰস্তুত হওয়ার পর, কঁঠালের যে অবশিষ্ট’কাষ্ঠ তোমার পিতার নিকটে রহিয়াছে, তদ্বারা আমার এই বিগ্রহের অনুরূপ দ্বিতীয় বিগ্রহ নিৰ্ম্মাণ করিয়া “কৃষ্ণবর্ণের” পরিবৰ্ত্তে ‘গৌরবর্ণেতে”অঙ্গরাগ করাইও । শ্ৰীনবদ্বীপে যে আমি গৌরাঙ্গরূপে অবস্থিত আছি, তাহা তুমি সমস্তই অবগত আছে। অতএব শ্ৰীগৌরাঙ্গ সেবা করিলে আমারই সাক্ষাৎ সেবা হইয়া থাকে। আমি প্ৰসন্নবদনে ঐ সেবা স্ত্রকাশ করিতে তোমাকে অনুমতি করিতেছি।” এই স্বপ্ন দেখিতে দেখিতে নিদ্রািভঙ্গ হইবার্মাত্র, তিনি দেখিলেন রাত্ৰি প্ৰভাত হইয়াছে। অবিলম্বে এই শুন্ড সংবাদ পিতৃদেবের নিকট প্ৰকাশ করাতে, • মহারাজ ভাগ্য চন্দ্র আর বিলম্ব না করিয়া সেই দিবস হইতেই “ললিত ত্ৰিভঙ্গ* বেশে শ্ৰীকৃষ্ণের অনুরূপ শ্ৰীশ্ৰীগৌরাঙ্গ বিগ্ৰহ নিৰ্ম্মাণ করাইয়া শীঘ্র শীঘ্র রাজকুমারী' ও শ্ৰীগৌরাঙ্গ মূৰ্ত্তিসহ ধাম দর্শনাৰ্থ বহির্গত হইলেন। যথাসময়ে তাহারা শ্ৰীনবদ্বীপে উপস্থিত হইয়া একে একে শ্ৰীগৌরাঙ্গ লীলাস্থলীগুলি পরিদর্শন করিতে লাগিলেন"। এই সময় মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ৰ নদীয়ার রাজা ছিলেন । এই রূপ জনশ্রুতি আছে যে, বর্ণিত কৃষ্ণচন্দ্ৰ মহারাজ শ্ৰীশ্ৰীগৌরাঙ্গদেবকে ঈশ্বর বলিয়া স্বীকার করিতেন না। নবদ্বীপবাসী পণ্ডিতগণের উত্তেজনায়, তিনি শ্ৰীশ্ৰীবিষ্ণুপ্রিয়া ঠাকুরুণীর সেবিত শ্ৰীশ্ৰীমহাপ্রভুর সেবা সম্বন্ধেও একটু বিরক্ত হইয়াছিলেন। তঁহার ভয়ে সেবাইতগণ ঐ শ্ৰীবিগ্রহকে অতি গোপনে একটা কুয়া খনন করিয়া তন্মধ্যে অতি সাবধানে কৌশলক্রমে মাটী চাপা দিয়া গোপনে রক্ষা করিয়াছিলেন। ইতিমধ্যে মহারাজ ভাগ্যচন্দ্ৰ সিংহ শ্ৰীনবদ্বীপে উপস্থিত হইয়া কৃষ্ণচন্দ্ৰ রায়ের এই সমস্ত কথা শুনিয়া মনে মনে অত্যন্ত দুঃখ অনুভব করিয়া স্বীয় আনিত মূৰ্ত্তি শ্ৰীনবদ্বীপে প্রকাশ্যভাবে স্থাপনক্রমে এই সংবাদ কৃষ্ণচন্দ্ৰ মহারাজের নিকট প্রেরণ করেন। সঙ্গে সঙ্গে এই সংবাদ ও দিয়াছিলেন যে, এই কাৰ্য্যে যদি কৃষ্ণনগরাধিপতির কোন আপত্তি থাকে, তাহা হইলে তিনি ইহার প্রতিবিধান করিতে পারেন। পের সুচতুর মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র এই সংবাদে KEAFS মণিপুর মহারাজের সঙ্গে সৌহার্দ স্থাপনক্রমে শ্ৰীশ্ৰীগৌরাঙ্গ সেবা সম্বন্ধে আনন্দপ্ৰকাশ করিতে লাগিলেন । এই উপলক্ষে মহারাজ • কৃষ্ণচন্দ্ৰ নবদ্বীপের ১৬/৭ বিঘা পরিমিত জমি বাৎসরিক নাম মাত্র কর,-“এক পাই কম সাড়ে সাত টাকা” ধাৰ্য্যক্রমে শ্ৰীমহাপ্রভুর সেবাকাৰ্য্যের আনুকূল্য বিধানার্থ, মহারাজ ভাগ্যচন্দ্ৰ সিংহকে সমৰ্পণ করিয়া ঐ স্থান "মণিপুর’ নামে ঘোষণা করিয়াছিলেন। এই সময় ভাগ্যচন্দ্ৰ মহারাজের উদ্যোগে কুপের ভিতর হইতে শ্ৰীশ্ৰীবিষ্ণুপ্রিয়া ঠাকুরাণীর সেবিত শ্ৰীবিগ্ৰহ উত্তোলন ক্রমে প্রকাশ্যভাবে মালঞ্চপাড়ায় সংস্থাপিত হয়। পরে তোতারাম দাস বাবাজীর উদ্যোগে শ্ৰীনবদ্বীপের বর্তমান স্থানে আনিত হয়েন। এইরূপে শ্ৰীনবদ্বীপে কিছুদিন অবস্থিত থাকিয়া মহারাজ ভাগ্য চন্দ্র ও রাজকুমারী “শ্ৰীপাট-খেতরী* দৰ্শনার্থ গমন করিলেন। শ্ৰীমন্নরোত্তম দাস ঠাকুরমহাশয়ের জন্মস্থানে যাওয়ার অল্পদিন পরেই ভক্ত মহারাজ ভাগ্যচন্দ্ৰ নিত্যধামে গমন করিলেন । তথায় মহোৎসবাদি কাৰ্য্য সম্পন্ন করিয়া রাজকুমারী শ্ৰীমতী “লাইরৈবি” শ্ৰীনবদ্বীপে আগমন করিয়া শ্ৰীগৌরাঙ্গ সেবা দ্বারা দিনযাপন করিতে * লাগিলেন। তদীয় কনিষ্ঠ সহোদর মহারাজ “চৌরাজিত” সিংহ অবিলম্বে শ্ৰীনব দ্বীপে আগমন কবিয়া ভগিনীর আদেশ অনুসারে শ্ৰীশ্ৰীমহাপ্রভুর সেবা কাৰ্য্যে Digitized at BRC-india. COTI