পাতা:শ্রীশ্রীনবদ্বীপ-দর্পণ - ব্রজমোহন দাস.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৯ অত্ৰীগৌরাঙ্গ সুন্দর। “একালের কলিকাতার সেকালে নবদ্বীপে নয় লোকের বাস। হার লক্ষ ছিল। ” (এধাম নবদ্বীপ নিবাসী প্রহরেন্দ্রক দল প্রণীত ১৩২৩ সালে মুদ্রিত একৃষ্ণ চৈতণীণামৃত গ্রন্থের পংক্তি হইতে উচ্ছত। ১১ পৃষ্ঠার ১৯ ও ২ ৩ হইল ) । সেই সময় নদীয়া নগরের পশ্চিম দি গ্রভাগীরথী প্রবাহিতা ছিলেন। ভাগীরথীর পশ্চিমতীর-সংলগ্ন স্থানগুলির সম্পর্কে নিম্নলিখিত স্থান ওলি ছিল, মুখা,-(১) কুলিয়া, (২) সমূদ্র গড়, (৩) চাপাহাটী, (s ) রাঢ়পূর, ( ) বি;নগর(৩) জাগগর, (৭) মামগাছি, (৮) বৈকুণ্ঠপুর, () , (১০) কুত্রপুর ও নিদয়া গ্রাম প্রভৃতি। তিন দিক পরিবেষ্টিত নদীয়া নগর অভাগীরথীর পূর্বতীর সম্পর্কে অবস্থিত ছিল। ঐ নগরের পূর্ব ও উত্তর সীমায় ২) গঙ্গানগর(২) সিনলিয়া, (৩) গাছিগাছা ও (৪ ) মাজিদ প্রভৃতি গ্রামগুলি এক সমতলভূমির অন্তর্ভুক্ত ছিল। । অনদীয়া নগরের চারিদিকে যে চারিটী প্ৰসিদ্ধ বন্দর ছিল, তাহাদের নাম এখন পৰ্য্যস্বও প্রসিদ্ধ আছে। তাহাদের নাম, যথা, নদীয়া নগরের উত্তরে পূরাণগঞ্জ, পূর্বে মহেশগঞ্জ” দক্ষিণ দিকে 'কোলের গঞ্জ” এবং পশ্চিমে ‘দেওয়ানগঞ্জ ছিল। পুরাণগঞ্জ যেরপ নদীয়া ও ব্রাহ্মণপুকুর ( নামান্তর সিমলিয়) গ্রামের মধ্যস্থলে প্রসারিত ছিল, সেইরূপ কোলের দক্ষিণে অনেক দূর পর্য্যন্ত ছিল অতএব চারি গঞ্জের গঙও বিস্তৃত । সীমার মধ্যবর্ধী প্রাচীন রাজধানী এই “নদীয়া নগর অস্তত: ‘ছয় মাইল দৈর্ঘ্য ও চারি মাইল প্রশস্ত” ভূমিখণ্ডের উপর বিরাজিত ছিলসে সম্বন্ধে কোন সন্দেহ নাই। অতএব নদীয়া হইতে কুলিয়া অধিক দূরে ছিল না, কেবলমাত্র গঙ্গা এই উভয় স্থানের মধ্য দিয়া প্ৰবাহিত থাকিয়া স্থান হুইটকে পৃথক করিয়া ছিলেন। অতএব শ্ৰবৃন্দাবন দাস ঠাকুর এইজন্তই বৰ্ণন করিয়াছেন,= “সবে গঙ্গা মধ্যে নদীয়াঃ কুলিয়ায় : মারা গে পোখালি বাধনা পাড়ার হস্তলিখিত কোন গ্রন্থে বর্ণিত আছে যে,= "নদীয়ার দক্ষিণেতে নগর কুলিয়া।” শ্ৰীমদ্মহাপ্রভু এই কুলিয়ায় আগমন করিয়া, সাত দিবস এাধবদান। বিগ্রের গৃহে বিশ্রাম করিয়াছিলেন। ঐ সময় গ্রীনবদ্বীপবাসীগণ ও পণ্ডিত দেবানন্দ প্রভৃতি এই স্থানে আগমন করিয়াছিলেন ও এই স্থানে এরীমহা প্রভ দেবানদের অপরাধ-ভঞ্জন করিয়াছিলেন। অGমহাপ্রভুর কুলিয়া জাগমন সম্বন্ধে প্রাচীন বৈষ্ণবগ্রন্থ সমুদয়ে যে সমস্ত প্রমাণ মাছে, তাহার একটী সংক্ষিপ্ত তালিকা উঠাইয়া দেওয়া গেল, যথা,- t Dimited at bReind