পাতা:শ্রীশ্রীনবদ্বীপ-দর্পণ - ব্রজমোহন দাস.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

As . শ্ৰীশ্ৰীগৌরাঙ্গ সুন্দর। অংশে শ্ৰীশ্ৰীগৌরাঙ্গসুন্দর জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, সেই স্থানই শ্ৰীশ্ৰীমায়াপুর” । চিনাডাঙ্গা ও পারডাঙ্গা নামক স্থানত্বয় তাৎকালিক নদীয়া নগরেরই অংশ বিশেষ। কারণ, ১৪৩১ শকাব্দায় শ্ৰীনবদ্বীপ পরিভ্রমণ সময়ে শ্ৰীশ্ৰীগৌরাঙ্গদেব যখন পারডাঙ্গার উপর দিয়া সংকীৰ্ত্তনচ্ছলে ভ্রমণ করিয়াছেন, তখন এই স্থান প্রাচীন নদীয়া নগরেরই সম্পৰ্কীত স্থান। এই পারডাঙ্গার উত্তরে: চিনাডাঙ্গা এবং তদুত্তরে প্রাচীন নদীয়া নগর অবস্থিত ছিল। অনন্তর গঙ্গার ভাঙ্গনের সঙ্গে সঙ্গে নদীয়াবাসীগণ সেই স্থান হইতে উঠিয়া চিনাডাঙ্গা ও পারডাঙ্গার উপরে আসিয়া বাস করেন। অতএব বৰ্ত্তমান নদীয়া নগর চিনাডাঙ্গা ও পারডাঙ্গার উপর অবস্থিত আছে ও ‘শ্ৰীনবদ্বীপ’-নামে পরিকীৰ্ত্তিত। শ্ৰীশ্ৰীবিষ্ণু প্রিয়া ঠাকুরাণীর সেবিত ‘শ্ৰীশ্ৰীগৌরাঙ্গ বিগ্ৰহ' বৰ্ত্তমান সমূয়ে “চিনাডাঙ্গা” । নামক স্থানে বিরাজ করিতেছেন। ঐ স্থান সম্প্রতি "মহাপ্ৰভু-পাড়া” নামে পরিচিত। পূৰ্ব্বে ঐ শ্ৰীমহাপ্রভুকে দর্শন করিতে ভক্তিগণকে, কিছু দর্শনী বাবতে দেওয়ার রীতি ছিল না। ভক্তগণ আপন শ্রদ্ধা ও গ্ৰীতি অনুসারে যাহা দিতেন তন্দ্বারাই শ্ৰীসেবা কাৰ্য্য নিৰ্বাহ হইত। যথা,- (১) “মাধবচন্দ্র বিদ্যাবাসীস্ত পঞ্চপুত্রাস্তেষুজগদীশস্তৃতীয়, যাদা জগদীশঃ প বর্ষদেশীয়স্তদাস্য পিতাস্বরারুঢ় স্তেন জগদীশাদীনাং লালনপালনভার ষষ্টিদাস্তৈৰাপিতুৰ্ব্বিয়োগাদিসৌ গাৰ্হস্থ্য কৃত্য নিৰ্ব্বাহে, ব্যাকুলীভূত কেবলং চৈতন্যদেব বিগ্ৰহ সেবয়োপার্জিতেনাৰ্থেন দুঃখ দুঃখেন দিনমনয়দিতি।” ( শব্দশক্তি প্ৰকাশিকা ) । M. }} (২) শ্ৰীবৃন্দাবনস্থ ৮ তেঁাতারাম দাস বাবাজীর কুঞ্জ হইতে ১৩২৩ সালের ১১ই মাঘ তারিখের পত্রের অংশ। যথা,- * {{ "শ্ৰীশ্ৰীবিষ্ণুপ্রিয়া ঠাকুরাণীর সেবিত বৰ্ত্তমান শ্ৰীবিগ্ৰহ মালঞ্চ পাড়ায় পালানুসারে - তদ্বংশীয় ও সেবাইতগণের ঘরে ঘরে ঘুরিয়া বেড়াইতেন। কোথাও কোন নির্দিষ্ট মন্দির ছিল না। --৬৮ তোতারাম দাস বাবাজীর যন্ত্রে ও চেষ্টায় বৰ্ত্তমান স্থানে প্রথম’ৰ্কাচি মন্দির নিৰ্ম্মিত হয় এবং সেবাইতগণ পালানুসারে ঐ মন্দিরে আসিয়া সেবা পূজা করার রীতি প্ৰবৰ্ত্তিত হয়। শ্রদ্ধা প্রীতিতে ভক্তগণ যাহা দিতেন, তদ্বারা সেবা কাৰ্য্য চলিত।” (১) কালনা অম্বিকার শ্ৰীশ্ৰীগৌরীদাস পণ্ডিত ঠাকুরের পাটে “শ্ৰীশ্ৰীনিতাই গৌর” বিগ্ৰহ দৰ্শন করিতে এক আনা দর্শনী দেওয়ার নিয়ম আছে বটে ; কিন্তু এই পয়সা দেওয়া না দেওয়া দর্শকের ইচ্ছার উপরে নির্ভর করিয়া থাকে। কাহাকেও কোনরূপ বাধ্য করা হয় না। কাঙ্গালের ঠাকুর শ্ৰীশ্ৰীনিতাই গৌর ভ্ৰাতৃত্যুগলকে দর্শন করিয়া ভক্তগণ কতই না আনন্দ অনুভব করিয়া থাকেন। (২) শ্ৰীখণ্ডে শ্ৰীশ্ৰীনিরহরি সরকার ঠাকুরের সেবিত ‘শ্ৰীমহাপ্রভুরী’ও কোন দর্শনী আদায় হয় না। (৩) কণ্টক নগরে ( কঁাটোয়ায় ) শ্ৰীশ্ৰীগদাধর দাস ঠাকুরের সেবিত ‘শ্ৰীশ্ৰীমহাপ্রভুর দর্শনী এতাবৎকােল যাবৎ লাগিতা না। কিন্তু গত বৎসর হইতে তথায়ও নবদ্বীপের অনুকরণে শ্ৰীশ্ৰীমহাপ্রভুর দর্শনী দুই আনা হইয়াছে । আর শ্ৰীমন্নবদ্বীপে শ্ৰীশ্ৰীবিষ্ণুপ্রিয়া ঠাকুরাণীর সেবিত।“গৌরভক্তগণের প্রাণকোট সৰ্ব্বস্ব।” শ্ৰীশ্ৰীমহাপ্রভুকে দর্শন করিতে হইলে, প্রতি দর্শককে চারি আনা হিসাবে দূৰ্শনী দিবার রীতি প্ৰবৰ্ত্তিত হইতে দেখিয়া, অনুরাগী ভক্তের প্রাণে যে দারুণ