পাতা:শ্রীশ্রীনবদ্বীপ-দর্পণ - ব্রজমোহন দাস.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

©শ্ৰীশ্ৰীগৌরাঙ্গ সুন্দর। ግ لي “ককবরের' অস্থিা অনেক বাহির হইয়াছিল । বৰ্ত্তমান মায়াপুর* কথিত ঠাকুর বাটতে আমি "প্রথম হইতে একাধিক্ৰমে “ সাত বৎসর বাস করিয়াছিলাম। (৬) ? শ্ৰীশ্ৰীগৌরাঙ্গদেব ১৪•৭ শকাব্দ ও ১৪৮৫ খ্ৰীষ্টাব্দে অবতীর্ণ হইয়া-১ ছিলেন । ইহার ২৮২ বৎসর পূৰ্ব্বে অর্থাৎ ১১২৫ শকান্ধা ও ১২০৩ খ্ৰীষ্টাব্দে সেনবংশীয় শেষ রাজার হস্ত হইতে নদীয়া-রাজধানী মুসলমানদের হস্তগত হইয়াছিল। অতএব স্বীয় জাতীয় গৌরব চিরস্মরণীয় রাখিবার জন্য মুসলমান শাসনকৰ্ত্তাগণ ঐ স্থানে তিনটী গ্ৰাম মুসলমানপল্লীর অন্তভুক্ত করিয়া (১) কাজিপাণ্ডু', (২) মোল্লাপাড়া ও (৩) মিঞাপাড়া বা মিয়াপুর নামে অভিহিত করিয়াছিলেন। শ্ৰীহট্টবাসী বৈদিক বিপ্ৰ শ্ৰীশ্ৰীজগন্নাথ মিশ্রপুরন্দর, যে এই মুসলমান-প্রধান স্থানীে আসিয়া বাস করিয়াছিলেন, ইহা কিছুতেই সম্ভবপর নহে। যদি সুপ্ৰসিদ্ধ বল্লাল দিঘির এত নিকটবৰ্ত্তী স্থানে তিনি বাস করিতেন, তাহা হইলে, তৎকালিক মহাজন শ্ৰীল মুরারি গুপ্ত, শ্ৰীশ্ৰীনিরহরি সরকার ঠাকুর, শ্ৰীল বৃন্দাবন দাস ঠাকুর, কবিকর্ণপুর গোস্বামী, শ্ৰীশ্ৰীলোচন দাস ঠাকুর। কিম্বা শ্ৰীশ্ৰীবাসুদেব ঘোষ। প্রভৃতি। মহাত্মা এই মনোরম জলাশয়ের নাম উল্লেখ করিতে কিছুতেই বিরত হইতেন না। ... তবে গোবিন্দদাসের কড়চাতে যে, "বল্লাল দিঘির নিকটে শ্ৰীমন্মহাপ্রভুর গৃহ ছিল বলিয়া উল্লেখ আছে দেখিতে পাওয়া যায়।” ঐ বিষয় লইয়া প্ৰাচীন শ্ৰীশ্ৰীবিষ্ণু' প্রিয়া পত্রিকার কোন একটী প্রবন্ধে স্বধামগত মহাত্মা শিশির কুমার ঘোষ মহাশয় আন্দোলন করিয়া প্রমাণ করিয়াছিলেন যে “ঐ কড়চার প্রথমাংশ ও শেষ অংশের বিষয়গুলি লুপ্ত হওয়া গতিকে শ্ৰীপাট শান্তিপুরের কোন প্ৰভু সন্তান স্বরচিত কবিতা দ্বারা উহা পূৰ্ণ করিয়াছিলেন।” ( ঠাকুর শ্ৰীশ্ৰীবলরাম দাসের خبير " বংশধর শ্ৰীপাদ হরিদাস গোস্বামীর নিকটে ঐ প্রাচীন প্ৰবন্ধ ছিল ; কিন্তু অনুসন্ধান করিয়া বাহির করিতে পারেন নাই। যদি কোন মহাত্মা অনুগ্ৰহ পূর্বক এই প্ৰবন্ধটা কোন প্রাচীন শ্ৰীবিষ্ণুপ্রিয়া পত্রিকা হইতে বাহির করিয়া। দিতে পারেন তাহা হইলে বিশেষ উপকৃত হইব । ) ১২০৩ খ্ৰীষ্টাব্দে যে নদীয় রাজধানী মুসলমানদের হস্তগত হইয়াছিল এবং বর্তমান নদীয়ার উত্তরাংশে যে প্রাচীন নদীয়া নগর অবস্থিত ছিল, ”। পরে গঙ্গার ভাঙ্গনের সঙ্গে সঙ্গে যে শ্ৰীগৌরাঙ্গ দেবের বাসস্থান লুপ্ত হইয়াছিল ও প্রাচীন" গঙ্গা তাৎকালিক নদীয়া নগরের পশ্চিম প্রান্তে জান্নগরের নিকট দিয়া, প্রবাহিতা ছিলেন নিম্নলিখিত তিনটী ইংরাজী প্ৰবন্ধ দ্বারা তাহা স্পষ্টই উপলব্ধি । হইবে । যথা,- لlid 161 (9) “Nadia-The old Hindu Capital, stands at the junction of its two upper head waters about sixty five miles above Calcutta. * * It was at Nadia that the last Hindu King of Bengal, on the approach of the Mahammadan invader in 1203, fled from His place in the middle of dinner, as the story runs with His sandals snatched up in His hand, is it was at Nadia, that the Deity was incarnated in the פים - Digitized,at BRCIndia.com