পাতা:শ্রীসনাতন গোস্বামী.djvu/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীসনাতন গোস্বামী তিনি মুদ্রিত নয়নে প্রভুর চরণ ধ্যান করিতে প্রবৃত্ত হইলেন ; কিন্তু ধ্যানে মন বসিল না । মন ছুটিয়া ছুটিয়া চলিয়া যায়, আবার তাহাকে ধরিয়া আনেন ; মন আবার পালায়। এইরূপে যখন চঞ্চল মনের সঙ্গে যুদ্ধে পরাস্ত হইলেন, তখন রঘুনাথ আপন মনে বলিতে লাগিলেন, “কোথায় যে শুনেছিলাম, পবনকে বরং বাধ৷ যায়, তবু মনকে বাধা যায় না, সে কথা ঠিক। ধ্যানে আর কাজ নেই, সে সব আমার দ্বারা হবে না। আচ্ছা, আমি যে চোপ বন্ধ করে দেখছিলাম, প্রভু কুলিয়া পরিত্যাগ করে বৃন্দাবনের দিকে চলেছেন, সেটা কি ? সেটা কি ধ্যান ? কি জানি ; কিন্তু সে রকম ধ্যান করতে আমার বেশ লাগে । আচ্ছা, চোখ বন্ধ করে দেখি না কেন, প্রভু কোথায় ? ঐত, ঐত প্ৰভু চলেছেন, সঙ্গে অগণ্য লোক ; সকলেই প্রেমে মত্ত হয়ে প্রভুর সঙ্গে চলেছেন ; আমিই কেবল সঙ্গে যেতে পেলাম না ! সে সব কথা স্বাক্। এ কি হ’ল, প্রভুকে যে আর দেখতে পাচ্ছি না ! ঐ যে ঐ—যে আমার প্রভু বসুন্ধর আলো ক’রে অগণ্য ভক্তের আগে আগে চলেছেন। পথ বড় কঠিন, তার চরণতলে বড়ই ব্যথা লাগছে ; আমার এ দৃশু সহ হয় না—আমি তার জন্য মনে মনে পথ প্রস্তুত করি। আগে পথের উপর খুব পুরু ক’রে পদ্ম ফুল ছড়িয়ে দি, প্রভু তা’র উপর পা রেখে যাবেন—তা’হ’লে আর প্রভুর চরণ তলে ব্যথা লাগবে না। না, লাগবে ; তার চরণ যে ১ ০৩