পাতা:শ্রীসনাতন গোস্বামী.djvu/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায়-রুপ সনাতন এর অঙ্গে পড়েছে । নীলবর্ণ এত উজ্জ্বল ? এ নীলের জ্যোতিতে যে সব ভরে গেল ! এই নীল জ্যোতির মধ্যে আবার একি ফুটে উঠল ? হাসি ? হাসি কি এমন বিদ্যুৎভরা হয় ? দেখতে দেখতে যে এ হাসিতে সব ভরে গেল—আকাশ পৃথিবী, আমি আমার চতুৰ্দিক্, সব হাসিময়। ও কি, আবার একটা কিসের তরঙ্গ এসে হাসির বিদ্যুৎকে সহসা নিবিয়ে দিলে। দৃষ্টি ? আকর্ণবিস্তৃত নীল নয়নের দৃষ্টি । আহা, দৃষ্টিতে কত প্রেম, কত করুণা ! এ’ত দৃষ্টি নয়, এ যে করুণার প্রবাহ—অমৃতধারায় জগৎ প্লাবিত ক’রে ছুটে চলেছে। স্রোত বয়ে ঘেও না—দাড়াও, দাড়াও, আমি এক বিন্দু তুলে নেব—আমায় এক বিন্দু দিয়ে যাও—ওগো দাড়াও—” বলিতে বলিতে রূপ, প্রভুর চরণের উপর লুষ্ঠিত হইয়া পড়িলেন। প্রভু তাহার পদ্মহস্ত রূপের মাথায় দিলেন ; রূপ, প্রভুর চরণধুলি লইয়া উঠিয়া বসিলেন। প্রভু কছিলেন, “রূপ, তোমায় কৃষ্ণ কৃপা করেছেন, অতি সত্বরই তুমি সকল বন্ধন হতে মুক্তি লাভ করবে ।” সনাতন (অমর ) এতক্ষণ অবিশ্রাম কাদিতেছিলেন। কেন কাদিতেছেন, তা’ তিনি জানেন না, কিন্তু কান্নার বিরাম নাই— প্রবাহ গড়াইয়া মেদিনী সিক্ত করিল। প্রভু তাহাকে সাস্বনা দিয়! কহিলেন, “তোমরা আমার অতি প্রিয় ।” ఫి సె