পাতা:শ্রীসনাতন গোস্বামী.djvu/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম অধ্যায়–নিত্যানন্দের হরিনাম বিতরণ না। নাচছ, কাদছ, ব্যস্–আবার আমায় নিয়ে পড়লে কেন ? প্রভুপাদ তখন ধূলার উপর তাহার চরণতলে লুটাইয়া পড়িয়া বলিলেন, “ওগো, একবার হরি বল, একবার কৃষ্ণ বল ; কৃষ্ণ ব’লে আমায় জন্মের মত কিনে লও।” লোকটা স্তম্ভিত হইয়া দাড়াইল। একজন মহাশক্তিসম্পন্ন সন্ন্যাসী, তাহীকে হরিনাম বলাইবার জন্ত তাহীর পায়ের কাছে পড়িয়াছেন। এ দৃশ্য সে হিন্দু হ’য়ে সহ্য করিতে পারিল না ; বলিল, “ওঠ ঠাকুর, যা বলতে বলবে তাই বলছি ! তামাস দেখতে এসে ভ্যাল আপদে পড়লুম ! কি বলতে হবে ? কৃষ্ণ কৃষ্ণ রাম রাম ? আচ্ছা বলছি, উঠ । কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হে, রাম রাম রাম রাম রাম রাম রাম হে ॥ বাঃ বেশ নাম ত । আচ্ছা, নাম করতে করতে বুকের ভিতর কেঁপে উঠে কেন ? কি যেন বন্ধ ছিল, খুলে গেল। চোখে জল আসছে কেন ? ছেলে মেয়েদের ডাকৃতে এমন হয় না ত । প্রাণভরে অবিরাম ডাকতে বাসনা হচ্ছে কেন ? কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হে, রাম রাম রাম রাম রাম রাম রাম হে। ওগো, আমায় রসনা করে দেও, আমি রসনা হ’য়ে মধুর কৃষ্ণনাম >२१