পাতা:শ্রীসনাতন গোস্বামী.djvu/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম অধ্যায়—সনাতন বিদ্রোহী এসে না । (স্বগত) আজও প্রবৃত্তির এত তেজ ! এ আত্মা ভিমান না গেলে ত প্রভুর কৃপালাভ হবে না। আমিই তাই পড়ে রইলাম, রূপ ও অনুপ চ’লে গেল।” মুকুন্দদাস হাসিতে হাসিতে প্রস্থান করিলেন। যাইবার সময় বলিয়া গেলেন, “আপনি এখনও ব্যাধিমুক্ত হ’তে পারেন নি, উজির সাহেব !” গুপ্ত ক্ষতে যেন কে আঘাত করিল। সনাতন আচার্য্যকে কহিলেন, “আজ পাঠে বড় ব্যাঘাত ঘটিতেছে—পাঠ বন্ধ করিলে ভাল হয়।” - “ব্রহ্মার মোহনাশটা সংক্ষেপে সারিয়া লই ” বলিয়া আচার্য্য আরম্ভ করিলেন,—সেই তেজের সম্মুখে ব্ৰহ্মার একাদশ ইন্দ্রিয় যখন স্তব্ধ হইল, তখন সেই বাণীর অধীশ্বর, স্বপ্রকাশ জন্মরহিত পদ্মযোনি “এ কি !” বলিয়া স্তম্ভিত হইলেন । জ্ঞানময় ব্রহ্মা জ্ঞানরহিত হইলেন--দর্শন করিবার শক্তিও তাহার বিলুপ্ত হইল। তখন শ্ৰীকৃষ্ণ কৃপাপরবশ হইয়া মায়। যবনিকা উঠাইয়া লইলেন। ব্রহ্মা বাহদৃষ্টি পুনঃপ্রাপ্ত হইলেন। মৃত ব্যক্তি সহসা জীবন লাভ করিয়া যেমন ধীরে ধীরে চতুর্দিকে নেত্রপাত করিতে থাকে, তিনিও সেই রূপ গাত্রোথান পূর্বক অতিকষ্টে চক্ষুদ্ধ উন্মীলন পূৰ্ব্বক আপনার ও জগতের অস্তিত্ব উপলব্ধি করিলেন ; তখন বৃন্দাবন, পরে কৃষ্ণ র্তাহার নয়নপথে পতিত হইলেন । মায়ামুক্ত ব্ৰহ্মা তাহার ভ্রম বুঝিতে পারিয়া মস্তক চতুষ্টয় শ্রীকৃষ্ণের চরণেপুষ্ঠিত করিলেন। う8○