পাতা:শ্রীসনাতন গোস্বামী.djvu/২৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম অধ্যায়—সনাতন নীলাচলের পথে আমারই মত ধরাধামে এসেছ, তুমি কি তাকে দেখেছ ? সেই পরম সুন্দরকে দেখে কি তোমার জন্ম সার্থক করেছ ? তুমিত নিজের জন্তে আস নি, তারই জন্তে, তারই কাজে এসে ছ। তুমি কেন সেই চরণে ঢলে পড়ে জন্ম সার্থক করলে না ফুল ? সনাতন চলিতে লাগিলেন । অদূরে হস্তিযুথ দৃষ্ট হইল । সনাতন নিৰ্ভয়ে তাহদের সমীপবৰ্ত্তী হইয়া কহিলেন, কাহাকে তোমরা বনময় খুজে বেড়াচ্ছ ? সেই বনবিহারীকে ? ধিনি বনের রাজা, তোমাদের রাজা, আমার রাজা, পৃথিবীর রাজা, সেই রাজার রাজাকে বুঝি খুজে বেড়াচ্ছ ? তাকে একবার দেখে আমারই মত বুঝি উদভ্ৰান্ত চিত্তে বিশ্বময় ছুটে বেড়াচ্ছ। আহা তিনি বড় দয়াল, তাকে যে খোজে, সেই তার দর্শন পায় । গোজ, খোজ, বনময় পাতি পাতি করে খোজ ; খুজিলেই তার দর্শন পাবে—এই বনের ভিতরই তিনি তোমাদের দর্শন দিতে আসবেন। হস্তি-যুথ অদৃশ্য হইল। সনাতন চলিতে লাগিলেন । যখন ক্ষুধা অনুভব করিলেন, তখন গাছের ফল পাড়িয়া ঝরণার ধারে বসিলেন। ক্ষুধাতৃষ্ণ নিবারণ করিয়া সনাতন আবার পথ চলিতে লাগিলেন। স্বৰ্য্যাস্তের পূৰ্ব্বেই বনের ভিতর অন্ধকার। সনাতন এক বৃক্ষমূলে আশ্রয় গ্রহণ করিলেন। অন্ধকার ক্রমে গাঢ় হইল ; এত গাঢ়, এত নিবিড় যে, নিজের অঙ্গপ্রত্যঙ্গও সনাতন আর দেখিতে পাইলেন না। কিন্তু তিনি নির্ভয় । হৃদয়মধ্যে ミR>