পাতা:শ্রীসনাতন গোস্বামী.djvu/২৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায় –রঘুনাথ ও উন্মাদ একদা মধ্যাহ্নে রঘুনাথকে এক ভল্লুকে তাড়া করিল। রঘুনাথ ভীত হইয়া দোঁড়িতে লাগিলেন ; কিন্তু শ্ৰান্ত চরণ টানিয়া লইয়া বনপথে বড় বেশী দূর যাইতে পারিলেন না । সেই অপরিচিত ব্যক্তির উপদেশ সহসা মনে পড়িল ; তিনি দোঁড়িতে দোঁড়িতে ডাকিলেন, “কৃষ্ণ, কৃষ্ণ, আমায় রক্ষা কর।” কৃষ্ণ যে সে আহবান শুনিতে পাইলেন, এরূপ মনে হইল না। মুক নিকটবর্তী ; রঘুনাথ উপায়ান্তর না দেখিয়া এক বৃক্ষোপরি উঠিবার চেষ্টা করিলেন ; কিন্তু অভ্যাস নাই, পারিলেন না । তিনি সকাতরে বলিলেন, “ভল্লুক, আমায় মেরে না, আমি কৃষ্ণদৰ্শনে চলেছি— আমায় মেরে না । আগে তাকে একবার দেখে আসি, তা’র পর য’ হয় করো।” ভল্লুক সে প্রার্থনা যে মঞ্জুর করিল, এরূপ বুঝা গেল না ; সে আক্রমণোদ্যত হইল। রঘুনাথ তখন চক্ষু মুদ্রিত করত সহায়শূন্ত হইয়া ডাকিলেন, “আমি আর পরিলাম ন৷ কৃষ্ণ, তুমি যা’ হয় করে৷ ” . .وهم সহসা এক চীৎকার শুনা গেল। একটী কৃষ্ণবর্ণ বালক জঙ্গল হইতে কাঠ কাটিয়া মাথায় করিয়া লইয়া যাইতেছিল। সে দেখিল, ভলুক একটি নিরাশ্রয় যুবককে আক্রমণোদ্যত; সে তখন তাহার কাঠেরবোঝা ভলুকের মাথার উপর সজোরে নিক্ষেপ করিয়া কুঠার লইয়া দাড়াইল । ভল্লুক দেখিল, এবার এর দলে ভরি ; সুতরাংপলায়নই বুদ্ধিমানের কাৰ্য্য। অতি তৎপরতার সহিত ভলুক স্থানান্তরে প্রস্থান রিল । ,之8,