পাতা:শ্রীসনাতন গোস্বামী.djvu/২৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম অধ্যায়—মনমোহনিয়া ছেলের পূজো ক’রে তা’র অকল্যাণ করব ? তুমি এ কি বলছ গোসাই ? - সনাতন স্তম্ভিত হইলেন। কথাটার ভাব তিনি ঠিক উপলব্ধি করিতে পারিলেন না । তিনি বলিলেন, “তোমার কথা আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না, মা ! যাই হো’ক, ঠাকুরকে অনাচারে রেখো না ।” বলিয়া সনাতন প্রস্থান করিলেন । পথে যাইতে যাইতে ভাবিতেছিলেন, “এ আবার কি ! ঠাকুরকে পূজা করতে বললে হেসে উঠে, আচার করতে পরামর্শ দিলে, বলে পেরে উঠব না। অথচ ঠাকুরকেও ভালবাসে। বুঝলুম না।” সনাতন বৃন্দাবনে ফিরিয়া আসিলেন । তা’র দুই তিন দিন পরে একদা প্রভাতে আবার চৌবের গৃহে উপস্থিত। রুদ্ধ দ্বারের পাশ্বে দাড়াইয়া ডাকিলেন, “মা” ! চৌবে-গৃহিণী দ্বার উদঘাটন করিলেন, কিন্তু সনাতনকে ভিতরে আসিতে আহবান করিলেন না। সনাতন বলিলেন, “মা, আমায় ক্ষমা কর, আমি তোমার অবুঝ সস্তান ।” চৌ-গৃ। কেন, কি হয়েছে বাবা ? সনা । মদনমোহন কাল রাতে আমায় স্বপ্নে দর্শন দিয়ে বলেছেন, “তুই আচার করতে কেন বলে এসেছিস্ ? আমি যে আর ঠিক সময়ে খেতে পাইনে। আমি ছেলেদের সঙ্গে বসে &bre