পাতা:শ্রীসনাতন গোস্বামী.djvu/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হরিদাস অবশেষে পীড়ন আরম্ভ হইল। ধৈৰ্য্যের একটা সীমা আছে ; হরিদাস যখন আর নির্য্যাতন সহ করিতে পারিলেন না, তখন বিংশতিঘর্ষ বয়সে জন্মভূমি চিরদিনের জন্য পরিত্যাগ করিলেন। নিরাশ্রয় নির্য্যাতিত হরিদাস বেনাপোলের জঙ্গলে আসিয়া এক খানি ক্ষুদ্র কুটার নিৰ্ম্মাণ করিলেন। কুটার-পাশ্বে ভক্তিরোপিত অশ্রু-সিঞ্চিত তুলসী মঞ্চ। * তাহার সঙ্গী তুলসী ; পাঠ হরিগুণ গান ; কাৰ্য্য হরিনাম জপ । তিনি মানুষকে চান না, কিন্তু মানুষ তাহাকে ছাড়ে না। অনেক ভক্ত আসিয়া জুটিল । হরিদাসের কুটার হইতে প্রায় অদ্ধ ক্রোশ দূরে একখানি বড় গ্রাম। গ্রামের নাম কাগজ পুকুরিয়া। চতুঃপাশ্বের—মালিক, শান্তিধর—রাজদত্ত-উপাধি, রামচন্দ্র র্থা। তিনি হিন্দু, কিন্তু মুসলমানের পক্ষপাতী ; তিনি ব্রাহ্মণ, কিন্তু অসদাচারী। র্তাহার সম্বন্ধে কয়েকট গল্প প্রচলিত আছে—কোন কোন ইতিহাসেও স্থান পাইয়াছে ; কিন্তু অনেকের সে সকল গল্পে শ্রদ্ধা হয় না। কিম্বদন্তী আছে, গৌড়ের রাজা হোসেন সা, পিতৃ-পরিত্যক্ত হইয়া বাল্যকালে শান্তিধরের গো-পালকের কার্য্য করিতেন। একদিন শাস্তিধর দেখিলেন, গোচরণ-ভূমিতে বৃক্ষতলে-নিদ্রিত হোসেন খার মস্তক, দুইটী বিষধর সর্প, চক্র ধরিয়া সুৰ্য্যতাপ হইতে রক্ষা করি

  • তুলসী-মঞ্চ, যশোহর সন্নিকটে বেনাপোল রেল ষ্টেশন হইতে অৰ্দ্ধ মাইল দূরে অবস্থিত। প্রতি বৎসর তথায় উৎসব হয় । -

> ○ -