পাতা:শ্রীসনাতন গোস্বামী.djvu/৩০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম অধ্যায়–অপ্রাকৃত দেহগ্রহণ হয় সেও ভাল। ভক্তের দুঃখ, কাঙ্গালের ঠাকুরের বুকে গিয়া বাজিল ; তিনি আর স্থির থাকিতে পারিলেন না,—গ্রাম্য-বালকের রূপ ধরিয়া দুগ্ধ-ভাও হস্তে উপস্থিত হইলেন এবং রূপের সম্মুখে ভাণ্ডট রাখিয় প্রস্থান করিলেন । দুগ্ধ আস্বাদ করিয়া রূপ বুঝিলেন, ইহা অমৃততুল্য ; প্রতীতি হইল, এ দুগ্ধ অপ্রাকৃত । কে আনিল জানিবার জন্ত ধ্যানস্থ হইলেন ; ধ্যানে অবগত হইলেন যে, যিনি দুগ্ধ অনিয়ছিলেন, তিনি আর কেহ নহেন— তিনি স্বয়ং শ্ৰীকৃষ্ণ । তখন রূপগোস্বামী প্রেমে হতচৈতন্ত হইলেন। সনাতন এ সংবাদ পাইয়া ছুটিয়া আসিলেন এবং রূপকে বহু তিরস্কার করিলেন ; কহিলেন, “কেন তুমি কৃষ্ণকে দুঃখ দিবার জন্যে উপবাস করেছিলে ? তার কত কষ্ট হ’য়েছে ! সেই সুকুমার হস্তে গুরুভার ভাণ্ড নিয়ে, বায়ু অপেক্ষা কোমল চরণে হেঁটে এসে তিনি তোমায় দুধ দিয়ে গেছেন । হায় হায়, সেই দুধ আবার তোমার সেবায় লেগেছে ! কৃষ্ণ, কৃষ্ণ, আমাদের অপরাধ ক্ষমা কর—আমরা অবোধ ভক্তিহীন, পদে পদে তোমায় ব্যাথা দি । ( চোখের জল মুছিয়া ) শুন রূপ, অতঃপর তুমি আর উপবাসে থাকিবে না—নিজের আহাৰ্য্য নিজে মাধুকরি করিয়া সংগ্ৰহ করিবে, না পার, রঘুয়া আনিয়া দিবে।” গুরুর আজ্ঞা শিরোধাৰ্য্য করিয়া রূপ র্তাহার পদধূলি গ্রহণ &bb"