পাতা:শ্রীসনাতন গোস্বামী.djvu/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায়—হরিদাস উঠিল—সঙ্গীত-ঝঙ্কার পৃথিবী মুগ্ধ করিয়া আকাশের দিকে ছুটিল। হীরা মুগ্ধচিত্তে আত্মহারা হইয়া নাম শুনিতে লাগিল । যতই শুনিতে লুগিল, ততই তাহার দেই অবশ হইয়া আসিতে লাগিল। তাহার অজ্ঞাতসারে তাহার চক্ষু দিয়া বারিধারা গড়াইতে লাগিল—তাহার বসন ভিজিল, পৃথিবী ভিজিল ; তাহার হৃদয় মধ্যে নাম ঝঙ্কৃত হইয়া উঠিল—তাহাকে আর নাম জপ করিতে হইল না-নাম আপনিই চলিতে লাগিল। সে জপের বেগ রোধ করা হীরার সাধ্যাতীত—এক অভিনব শক্তি কোথা হইতে আসিয়া হীরাকে অভিভূত করিল। হীরা ধূলিধূসরিতা, কম্পিতকলেবর । রাত্রি তৃতীয় প্রহর যখন অতীত-প্রায়, তখন হরিদাসের সমাধি ভঙ্গ হইল । তিনি প্রকৃতিস্থ হইয়া দেখিলেন, হীরা দ্বারপেেশ্ব রোরুদ্যমান ৷ ডাকিলেন, “বাহিরে কেন মা, ভিতরে এস।” এই প্রথম মাতৃ-সম্বোধন । লক্ষপুত্র এককালে মা বলিয়া ডাকিলে হীরার কাণে এমন মিঃ শুনাইত না । হীরা কঁাপিতে কঁাপিতে উঠিয়া আসিল । সে তখন স্নান করিয়া শুচি হইয়াছে—চোখের জলে; ভিতরের আবর্জন পুড়াইয়া পবিত্র হইয়াছে—হরিনামানলে; দুষ্প্রাপ্য চন্দনে অনুলিপ্ত হইয়াছে—অশ্রুসিক্ত মৃত্তিকায়। হরিদাস স্নেহভরে বলিলেন, “তোমাকে দুই দিন কষ্ট দিয়েছি, আজ তোমার সহিত আলাপ করব—বসে।” হীরা আছাড় খাইয়া হরিদাসের