পাতা:শ্রীসনাতন গোস্বামী.djvu/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম অধ্যায়—হরিদাস সপ্তগ্রামে হরিনামের সঙ্গে সঙ্গে অত্যাচার নির্য্যাতন ফিরিয়াছে। যবন বলিয়া ঘৃণা করিয়া, অথবা ভয় করিয়া কোন হিন্দু তাহাকে আশ্রয় দেয় নাই । হরিভক্তকে মুসলমান ত আশ্রয় দেবেই না। তাছাড়া আবার এক বিপদ আছে ; রামচন্দ্র থার তুল্য ব্যক্তি সকল দেশেই আছেন। কোনও প্রবল ব্যক্তির আশ্রয় না পাইলে কোথাও স্থির হইয়া বসিবার উপায় নাই। অবশেষে বলরামের পরিচয় পাইয়। তাহার বিস্তৃত উদ্যানের একাংশে আশ্রয় লইয়াছেন ; বলরাম আগ্ৰহ সহকারে এক খানি কুটার তুলিয়া দিয়াছেন। হরিদাস মনের আনন্দে তথায় দিবানিশি হরিনাম জপ করেন । তাহার কামনা আর কিছু ছিল না—শুধু একটু আশ্রয়। হরিদাস এইবার নিশ্চিস্ত হইয়াছেন ; ভয় নাই, উদ্বেগ নাই, —বৈষ্ণবের গৃহে বসিয়া প্রাণ ভরিয়া কণ্ঠ ছাড়িয়া হরিনাম করিতে লাগিলেন। নাম করিতে করিতে হরিদাস কখন কাদিতেন, কখন হাসিতেন, কখন নাচিতেন, কখনও বা হুঙ্কার দিয়া উঠিতেন । আচার্য্যের গৃহে অনেক ছেলে পড়িতে আসিত ; তাহারা হরিদাসকে পাগল মনে করিয়া বিদ্রুপ করিত ; কেহ হরিদাসের গায়ে ধূলা দিত, কেহ বা গোবর দিত। কিন্তু একটি বালক হরিদাসকে পাগল মনে করিত না । সে আমাদের রঘুনাথ। তাহার বয়স তখন দশ এগার বৎসর ; তাহার হৃদয় যেন এতকাল সুপ্ত ছিল, হরিদাসের হরিনামধ্বনিতে সে যেন সহসা জাগিয়া উঠিল। রঘুনাথ 8X