পাতা:শ্রীসনাতন গোস্বামী.djvu/৭১

শ্ৰীসনাতন গোস্বামী সুলতান একটু ইতস্ততঃ করিয়া সম্মতি দিলেন। হরিদাস একটুও বিচলিত হইলেন না—প্রসন্নবদন ও হস্তমুখ। বিদায় কালে স্কুলতানের দিকে ফিরিয়া বলিলেন, “সুলতান, ভগবান, তোমাকে আরও বড় করুন-আমি আনন্দে তোমার দণ্ড মাথায় পাতিয়া লইলাম। কিন্তু সুলতান, আমি বুঝিতে পারিলাম না, আমার অপরাধ কি ? তোমার রাজ্যে কি কেহ হরিনাম করিবে না? আমি তোমার অতি ক্ষুদ্র নগণ্য প্রজা, রাজ্যের একপ্রান্তে একখানি কুঁড়ে তুলিয়া বাস করিতেছিলাম, আমি কি অপরাধ করিলাম সুলতান, তাই আমাকে আজ—না, না, আমার অপরাধ আছে, নইলে এ দও কেন ? দণ্ড দিবার তুমি কে ? যার ইচ্ছ। बाडौड গাছের পাতাটি পড়ে না, তারই ইচ্ছায় আজ আমার এই দও ! মুলতান, তুমি নিরপরাধ, সহস্রবার নিরপরাধ, ভগবান তোমাকে সুখে রাখুন। আমি তারই দণ্ড গ্রহণ করিতে চলিলাম ; কই তোমার জল্লাদ কই ?” গৌড়-নগরের বাইশ বাজার ঘুরাইয়া হরিদাসকে বেত্ৰাঘাত করা হইল। বেত্ৰাঘাত বলিলে ঠিক হয় না ; কোড়ার আঘাত অতি ভীষণ, প্রত্যেক আঘাতের সঙ্গে রক্তমাংস উঠিয়া আসে। কোড়ার আঘাত হরিদাসের অঙ্গের উপর যতই পড়িতে লাগিল, ততই তাহার করুণ বিগলিত হইয়া আঘাতকারীর জন্ত ক্ষমা ভিক্ষা করিতে লাগিল ; বলিতে লাগিলেন, “ছরি, এরা অজ্ঞ, এদের - (t\d